এক-দুই নয় ১১৫ জনের দৌড়ে কোয়ালিফায়েড মাত্র দ্রৌপদী ও যশবন্ত
কলকাতা টাইমস :
শুধু দ্রৌপদী মুর্মু ও যশবন্ত সিনহা নয়। রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন আরও অনেকে। যদিও তাঁদের প্রত্যেকের মনোনয়নই বাতিল হল। শেষ পর্যন্ত লড়াই দাঁড়াল দু’জনের মধ্যেই।
সে না হয় হল, কিন্তু দেশের প্রথম নাগরিক হতে চেয়ে কতজন মনোনয়ন জমা দিলেন? একটি-দু’টি নয়। রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হতে চেয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছিল ১১৫টি। অর্থাৎ তালিকা রীতিমতো দীর্ঘ। কারা আছেন সেই তালিকায়?
বিহারের কৃষক লালু প্রসাদ যাদব, তামিলনাড়ুর ব্যবসায়ী আর এস সতীশ কুমার, অধ্যাপক ডা. ডি দয়া শঙ্কর আগরওয়ালদের নাম বিক্ষিপ্তভাবে সামনে এসেছে। এবার যা জানা গেল, তাতে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার অবস্থা। ফর্ম পূরণে কিছু ভুল থাকায় এই শতাধিক মনোনয়নের মধ্যে ২৬ জনের ২৮টি ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়মাবলীর ৫ বি (৪) ধারা অনুযায়ী বাদ গিয়েছে শুরুতেই। বাকি ৮৭টি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭২ জন।
রাজ্যসভা সচিবালয় মারফত প্রাপ্ত সূত্র অনুযায়ী এর মধ্যে ৫বি ধারায় বাদ যায় আরও ৭৯টি।
অর্থাৎ দ্রৌপদী ও যশবন্ত ছাড়া আরও ছ’জনের নাম থাকার কথা চূড়ান্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। তবে স্ক্রুটিনিতে উপস্থিত এক প্রার্থীর বক্তব্য অনুযায়ী, দুই হেভিওয়েট ছাড়া শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে গিয়েছে বাকি সবক’টি মনোনয়নই। কারও সঙ্গেই ৫০ জন করে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবক ছিল না। শেষপর্যন্ত কত জন চূড়ান্ত রেসে থাকলেন, সরকারি ভাবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২ জুলাই পর্যন্ত। সেদিনই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৫ জুন। ২৯ জুন ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ৩০ জুন মনোনয়ন খতিয়ে দেখা হয়। মনোনয় প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ জুলাই। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ২১ জুলাই ফল ঘোষণা।