শতাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে বাবাকে খুন মেয়ের, ১২ বছর ধরে মৃতদেহ লোপাট!
কলকাতা টাইমসঃ
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী বারবারা কম্বেসের বয়স যখন মাত্র নয় বছর তখন থেকেই বাবা কেনেথ কম্বেসের বিকৃত লালসার শিকার হতে শুরু করেন তিনি। কয়েক দশক ধরে চলে এই নির্যাতন। কেনেথ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন অন্তত শতাধিকবার। অবশেষে সেই মেয়ের হাতেই খুন হন তিনি। আর বাবার কবরের পাশেই দীর্ঘ ১২টি বছর কেটেছে সেই মেয়ের।
ম্যানচেস্টার ইভনিং এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে একদিন বাড়ির খাবারের টেবিলে একটি বক্স দেখেন বারবারা। বক্স খুলে শিশু পর্নোগ্রাফির বেশকিছু ছবি দেখতে পান তিনি। সেগুলোর মধ্যে নিজের ছবিও পান। বারবারার বয়স ৫১ বছর হলেও তখনও তাকে নির্যাতন করে যেতে বাবা কেনেথ। বক্সে নিজের এমন ছবি দেখে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি বারবারা। হাতে থাকা বাগানের বেলচা দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে বসেন তিনি। কেনেথ তার দিকে ঘুরে দাঁড়ালে আবারও আঘাত করেন বারবারা। শেষমেষ বেলচার ধারালো প্রান্ত দিয়ে গলা কেটে কেনেথের মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর লাশ নিয়ে ঘরের পাশেই কবর দিয়ে দেন বারবারা। দীর্ঘ ১২ বছর এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে রাখেন তিনি। সবাইকে বলেন, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বাবার। আর তার শেষকৃত্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই করে ফেলে।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে, বাবাকে হত্যার বিষয়টি স্বেচ্ছায় স্বীকার করেন বারবারা। তারই জের ধরে বর্তমানে ৬৩ বছর বয়সী বারবারাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ম্যানচেস্টারের আদালত। উল্লেখ্য, ইভনিং নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মেকানিক হিসেবে কাজ করা কেনেথ কম্বেসের কারণে বারবারার মা ও বারবারাকে বেশ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। ধারণা করা হয়, বারবারার প্রথম মেয়ে সম্ভবত কেনেথেরই মেয়ে।