অত্যাচারে মন ভরে গেলে নাবালিকা স্ত্রীর দেহ কুচিকুচি ছড়াল স্বামী
কলকাতা টাইমস :
দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া এবার ত্রিপুরায়। তবে পার্থক্য একটাই এবার শিকার স্ত্রী। জানা গিয়েছে, নিজের স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছে স্বামী। সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, যেই বধূকে খুন করা হয়েছে, সে একজন নাবালিকা। বয়স হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর। অভিযুক্ত স্বামীকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পশ্চিম ত্রিপুরার সুভাষনগরের এই নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ জানায়, কচুখেত থেকে ওই নাবালিকার টুকরো টুকরো দেহের অংশ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম কাসেম মিয়াঁ। এলাকাবাসীরা জানান, আরও কয়েক বছর আগে ওই নাবালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেইসময় কিশোরীর বয়স আরও কম ছিল।
বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চালাতো কাসেম। সব সহ্য করেও দিনের পর দিন স্বামীর কাছেই পড়ে থেকেছে ওই কিশোরী। এরপরই মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হল সে। শনিবার গ্রেফতার হওয়ার পর কাসেম পুলিশকে ওই কচুখেতে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো দেহগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। এরপর নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী।
জেরায় পুলিশকে কাসেম জানিয়েছে, স্ত্রী’কে খুন করার পর রাতের অন্ধকারে দেহটি সরানোর জন্য একটি ব্যাগ নিয়ে আসে সে। কিন্তু ব্যাগের মধ্যে গোটা দেহটি না ঢোকায় প্রথমে মৃতদেহের গলা কেটে নেয় সে। এরপর একটি ব্যাগে মাথা ও অন্য ব্যাগে দেহ ঢুকিয়ে রাত ১১টা নাগাদ ঘর থেকে বের হয়। কাঁধে ও হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এলাকারই ওই কচুখেতে যায় সে। এরপর ব্যাগ দু’টি মাটিতে পুঁতে দেয় ও দেহাংশ ছড়িয়ে দেয়।
যেহেতু দু’জনেই একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন, তাই সকালবেলা স্বামী-স্ত্রী’কে দেখতে না পেয়ে অন্য ভাড়াটেদের সন্দেহ হয়। এরপর সবাই মিলে পূর্ব আগরতলা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিদ্ধি আশ্রম এলাকা থেকে অভিযুক্ত কাসেম মিঁয়াকে গ্রেফতার করা হয়।