‘বকাবকির ধার ধারে না স্বামী, ভালোবাসায় দমবন্ধ’, স্ত্রী চান তালাক
কলকাতা টাইমস :
দাম্পত্যে খুনসুটি নাকি ভালোবাসার পরিচয়। যদিও বর্তমান সময় এই খুনসুটি আবার সম্পর্ক ছেদের অন্যতম কারণ। প্রচুর দম্পতি কলহের কারণেই কোর্টের দ্বারস্থ হন ডিভোর্সের আবেদন নিয়ে। নিজেদের ঝগড়ায় অতিষ্ঠ প্রচুর দম্পতি। কিন্তু তাই বলে ভালোবাসায় অতিষ্ঠ হতে শুনেছেন কখনো ? কোনো কারণে কখনোই বকাবকির ধার ধারে না স্বামী, সেজন্য তাকে তালাক দিতে চান ভারতের উত্তরপ্রদেশের একজন মহিলা ।
ওই মহিলার দাবি, অতিরিক্ত ভালোবাসা পেয়ে তার দমবন্ধ হয়ে আসছে। সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু আদালত অভিযোগ শুনেই তা খারিজ করে দেয়। তার পরেও নাছোড়বান্দা ওই নারী। একপর্যায়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার ওই নারীর বিয়ে হয়েছে দেড় বছর আগে। এর মধ্যেই আদালতে বিচ্ছেদ চেয়েছেন স্ত্রী। স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চাওয়ার কারণ শুনে অবাক হয়ে গেছেন বিচারক।
আদালতে আপিলে ওই নারী জানিয়েছেন, স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং ভালো মানুষির কারণে তিনি বিরক্ত। সে কারণে বিচ্ছেদ চান। শরিয়া আদালত ওই নারীর পিটিশন খারিজ করেছে।
বিচারক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই নারী অবুঝের মতো করছেন। তার পরেও হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। হাজির হয়েছেন পঞ্চায়েতের দরবারে। তবে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, এমন উদ্ভট সমস্যা সমাধান করতে তারাও অপারগ।
ওই নারী ঠিক করে নিয়েছেন স্বামীকে তালাক দিয়েই ছাড়বেন। তার কথায়, উনি আমায় অতিরিক্ত ভালোবাসেন। কখনো ঝগড়া করেন না। আমি ভুল করলেও সবসময় হাসিমুখে ক্ষমা করে দেন। আমি এমন জীবন চাই না। মাঝে মাঝে তর্ক-বিতর্ক করতে চাই। এই অতিরিক্ত ভালোবাসায় দমবন্ধ লাগে আমার। তাই বিচ্ছেদ চেয়েছি।
তার স্বামী জানিয়েছেন, তিনি সবসময় স্ত্রীকে খুশি রাখতে চান। তাই এই ব্যবহার করেছেন। শরিয়া আদালত যাতে তার স্ত্রীর পিটিশন খারিজ হয়ে যায় সেই জন্য আবেদন জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও ওই স্বামী-স্ত্রীকে বলা হয়েছে তারা যেন নিজেদের মধ্যে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেন। কিন্তু ওই নারী তা মোটেও মিটিয়ে নিতে রাজি নন!