স্ত্রীর কাঁধে স্বামীকে, গ্রাম ঘুরিয়ে চলল ঝাঁটা-জুতোর বাড়ি
কলকাতা টাইমস :
মধ্যযুগীয় বর্বরতার এর থেকে বড় উদাহরণ বোধহয় আর হয় না। এক বিবাহিত মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রকাশ্যে রাস্তায় মেরে শাস্তি দিয়েছে। এতেই ক্ষান্ত হয় নি তারা। এরপর ওই গৃহবধূর কাঁধে তাঁর স্বামীকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আত্মীয়-স্বজনরা সেই মহিলাকে মারতে মারতে সারা গ্রাম ঘোরায়।
বর্বর এ ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা ছাবুয়ায়। সেখানকার ছাপড়ি রণবাস নামের এক গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে সন্দেহ করে। তাঁরা মনে করে, ওই মহিলাকে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আর স্রেফ সন্দেহের বশেই তাঁকে সবাই মিলে শাস্তি দিল।
ওই মহিলার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলো তাঁর স্বামীকে। তারপর তাঁকে মারধর করে ঘোরানো হলো সারা গ্রাম। তাঁর পেছনে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে ছিল একদল আত্মীয়। তাঁরা সুযোগ পেলেই তাকে মারছিল। ওই গৃহবধূ কোনোমতে আঁচল দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। এমন অপমান কী আর সহ্য করা যায়!
জানা গেছে, বছর তিনেক আগে ছাপড়ি রণবাস গ্রামের বদিয়া নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল। ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অনেক দিন ধরেই সন্দেহ করত। তারা এর আগেও তার ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করেছে।
ওই মহিলাকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার ভিত্তিতে পুলিশ স্বামীসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাতজনই তাঁর আত্মীয়। আটক সাতজনের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।