হাইড্রেশন পেলেই আর নয় শুষ্ক ঠোঁট
শুধু শীত নয় সারাবছর শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যায় ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ভুক্তভোগীরা বারবার লিপজেল কিছু ব্যবহার করে সাময়িক স্বস্তি তো পেয়ে যান কিন্তু সমস্যা থেকে যায় তিমিরেই। বিউটিসিয়ান মৌ নন্দী যেমন বলেন শীতকাল আসলেই সারাক্ষণ ঠোঁটটা শুকনো হয়ে যায়। এটা তো মরশুমের গুন্ কিন্তু আমার কাছে এমন অনেকে আসেন যারা সারা বছর শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যায় ভোগেন তারা কিছু প্রোডাক্ট দেবার কথা বলেন অথচ এই শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার বহু উপায় বাড়িতেই রয়েছে।প্রথমেই দেহের ভিতর থেকে ঠোঁটের পুষ্টি যোগাতে হবে।দেহের ত্বকের মতো ঠোঁটেরও হাইড্রেশন দরকার।তাই জল খাওয়া আরো বাড়াতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল, ফল ও সবজি খেতে হবে।এতে ঠোঁট ময়েশ্চার থাকবে। এছাড়া শীতে ঠোঁটে টান টান বোধ হয় সবার আগে।সতর্ক না হলে চামড়া ফেটে রক্ত পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারে।শীতের শুরুতেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। যারা সব সময় বাইরে থাকেন, তারা সাথে লিপ বাম বা লিপ জেল সাথে রাখতে পারেন।শীতকালে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার কমে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।তাই শীতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব।এ সময় খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।সারা বছর টক জাতীয় ফল যেমন-লেবু, জাম্বুরা, কমলা, বরই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি কমায় ও ত্বক সুস্থ রাখে।অনেকে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে একটু পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকে।এই কাজ করা যাবে না। এতে করে ঠোঁট আরো বেশি শুকিয়ে যায় ও ঠোঁট ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়।এছাড়া ভিটামিন ই সমৃদ্ধ লিপ বাম ঠোঁটের সৌন্দর্য রক্ষায় সাহায্য করে ও ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে সাহায্য করে।