গ্রেফতার হলেন বলে বিখ্যাত এই রাষ্ট্র নেতা

আইসিসি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু তথা গ্যালান্টের বিরুদ্ধে একাধিক মানবতার বিরোধী অপরাধ যথা খুন, নিপীড়ন এবং অমানবিক আইন-কানুন প্রবর্তনের অভিযোগ প্রমাণিত। এছাড়াও দু’জনে স্পর্শকাতর এক বিষয় অনাহারকে ‘অস্ত্র’ হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার করেছেন যুদ্ধে জেতার জন্য। গাজায় খাদ্য, জল ও ওষুধের মতো অত্যাবশকীয় বস্তুর সরবরাহ আটকে দিয়ে বিপুল সংকট ও মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগেও বিদ্ধ নেতানিয়াহু-গ্যালান্ট। আইসিসির অভিযোগ যুদ্ধে শিশুদের হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করেননি ইজরায়েল প্রধান।
উল্লেখ্য, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, স্কুল, ধর্মীয় স্থানে হামাস জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার অভিযোগ তুলেই গাজায় হামলা করে ইহুদি সেনা । পরবর্তীতে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিভিন্ন ছবি তথা ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, গাজা থেকেই তারা নানা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। নেতানিয়াহুর দেশের অভিযানে গাজায় মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। এই এক বছরে কার্যত ভেঙে গিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য পরিষেবাও। হাসপাতালগুলোয় উপচে পড়ছে মৃতদেহ। যুদ্ধের বলি ছোট ছোট নিষ্পাপ শিশুরাও।
ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ থামাতে নিয়ত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মিশর, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশ। বহু আবেদন, হুমকি সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে নড়তে নারাজ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার গাজায় পা রেখে তিনি দাবি করেন, যুদ্ধ একবার শেষ হলে পুরোপুরি হামাসমুক্ত হবে গাজা। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, আর বেশি দেরি নেই। তবে এখন দেখার আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এই যুদ্ধে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কিনা ?