September 24, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এই ২০ গুণ না-থাকলে সে আপনার মনের মানুষ নয়!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

প্রেমে পড়ার সময় অনেক কিছুই মাথায় থাকে না। পরে ঘর বাঁধার পর পদে পদে অশান্তি। বিধিনিষেধের লক্ষ্মণরেখা। চুলোচুলি, শেষমেশ হয়তো বিচ্ছেদ। ভালো বন্ধু বা বান্ধবী মানেই কিন্তু আপনার মনের মানুষ নয়। ভালো পার্টনার বা জীবনসঙ্গী হতে গেলে নীচে উল্লিখিত ২০টি গুণ থাকা বাঞ্ছনীয়।

১. পরস্পরের ভাবাবেগ ও সিদ্ধান্তকে সমর্থন: নিজের বা পরিবারের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, সেসব সাতপাঁচ না-ভেবেই তিনি আপনার প্রতিটি প্রচেষ্টা বা উদ্যোগকে সমর্থন করবেন। তিনিই হবেন আপনার জীবনের সবচাইতে বড় চিয়ারলিডার।

২. আপনার জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবেন: আর্থিক দিক থেকে তিনি নিজে কতটা কী করতে পারলেন সেটা বড় কথা নয়। আপনার সঙ্গীর মধ্যে এমন কিছু গুণ থাকবে, যা আপনাকে আরও ভালো কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

৩. এমনিতে চালাকচতুর, আপনার কাছে ভিজে বেড়াল: একটা সম্পর্ক, বড় জার্নি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত। তাই মাঝমধ্যে মজা, হাসিঠাট্টা এসবেরও প্রয়োজন। তাই দু-তরফেই ‘ছেলেমানুষি’কে প্রশ্রয় দিতে হবে।

৪. তিনি হবেন আপনার অনুরাগী

৫. আপস করতেও রাজি: তার জন্য একটা খোলামন চাই। যাতে সব বিষয়ে সহমত হতে পারেন।

৬. আপনার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলবেন: হাতের পাঁচটা আঙুলের মতোই পরিবারের এক একজন এক এক রকমের হতে পারেন। যিনি আপনার আদর্শ পার্টনার হবেন, তিনি পরিবারের সবার সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে চলতে পারবেন। আপনার পরিবারের লোকজনকে সম্মান করবেন। তাঁরা আদৌ প্রশংসা করল কি না, সেসব নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না।

৭. মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে: দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকলে, খটামটি হবেই। সবসময়েই যে আপনার পার্টনার প্রতিটি বিষয়ে আপনার সঙ্গে একমত হতে পারবেন, তা নয়। তার মানে এই নয় তিনি আপনার বিশ্বাস বা ধারণাকে অসম্মান করবেন।

৮. ভালোবাসায় খামতি থাকবে না: একে অপরকে ভালোবাসবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু, সেটা যেন আষ্টেপৃষ্টে ধরার মতো মনে না হয়।

৯. বিশ্বস্ত হবেন: সন্দেহ দানা বাঁধলে সম্পর্ক চিরস্থায়ী হয় না। সম্পর্কের কাছে সত্‍‌ হতে হবে।

১০. আপনাকে প্রাণবন্ত রাখবে, কখনোই নিঃশেষিত বলে মনে হবে না: নানা ভাবে তিনি যদি আপনাকে চনমনে রাখতে পারেন, তিনিই হচ্ছেন যথাযথ পার্টনার। কখনোই তিনি হতাশা দানা বাঁধতে দেন না, যাতে জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা জন্মায়।

১১. প্রত্যেকের নিজস্ব একটা জীবন রয়েছে: এটা বুঝতে হবে। সেই ব্যক্তিজীবনে সবসময় হস্তক্ষেপ না-করে, বরং উত্‍‌সাহিত করতে হবে।

১২. কোনও কিছু নিয়ে অসন্তোষ যেন দানা বাঁধে।

১৩. আপনার ভিতরের সেরাটা তিনি বের করে আনতে পারবেন: ভালোমন্দয় মিশিয়েই আমরা। যিনি আপনার যথার্থ পার্টনার হবেন, আপনার বদ গুণগুলোকে বড় করে না দেখিয়ে, আপনার ভিতরের সেরা গুণগুলো প্রকাশে সহযোগিতা করবেন। প্রেরণা জোগাবেন।

১৪. সম্পূর্ণ আপনাকে যদি ভালো বাসতে পারেন: একজন মানুষের সবকিছুই যে আপনার মনের মতো বা পছন্দমতো হবে, তা তো হতে পারে না। দু-জনের বড় হয়ে ওঠা, দু-জনের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই যিনি পছন্দ-অপছন্দের সবকিছুকেই ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারবেন, কোথাও দ্বিধা বা হীনম্মন্যতা থাকবে না, তিনিই আদর্শ পার্টনার।

১৫. পরস্পর দোষারোপ নয়: সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইগো বিসর্জন দিতে হবে। কোনও ‘ভুল’ নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপে সম্পর্কে তিক্ততা আসে।

১৬. কোনও সংকোচ বা ভীতি থাকবে না: সম্পর্ক এমন হতে হবে, যাঁর কাছে গোপন কথাটাও নির্দ্বিধায় বলা যায়। কোনওরকম ভীতি কাজ না করে।

১৭. নির্দেশে নিয়ন্ত্রণ চাই: এটা করো না, সেটা করো না বা এটা করো, সেটা করো রোজরোজ এমন নির্দেশ শুনতে কারও ভালো লাগে না। তাই এমন বিধিনিষেধে লাগাম চাই।

১৮. আপনাকে ‘আপনি’ হয়ে ওঠার পথে তিনি বাধা হবেন না: আপনি যদি জোর করে কিছু চাপানোর চেষ্টা করেন, বা নানাবিধ শর্ত আরোপ করেন, সেই সম্পর্ক সুখের হতে পারে না। তাই ছেড়ে রাখতে হবে। কোনও কিছুতে আপনার কাছে বোকা বোকা ঠেকলেও, তাতে বাধা নয়। বিশেষত, হবির ক্ষেত্রে।

১৯. পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হবেন: যে কোনও বিষয়েই হোক পার্টনারের প্রতি ভরসা হারালে চলবে না। এমনকী অবিবেচকের মতো কিছু করলেও, বিরক্ত প্রকাশ করা যাবে না।

২০. সম্পর্ক হবে সহজ: একটা সম্পর্কে খটামটি থাকবেই, তার মানে এই নয় রোজ রোজ দু-জনে লড়াই করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, অশান্তি কী ভাবে কমিয়ে আনা যায়। দু-জনকেই মাথায় রাখতে হবে, এক অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নন। বরং আপনার পরিপূরক, আপনার বন্ধু এবং একজন টিমমেট।

Related Posts

Leave a Reply