এটা না থাকলে আঁধারেই থেকে যেতেন হকিংস
বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষক স্টিফেন হকিং ৭৬ বছর বয়সে এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশ্বতত্ত্ববিদ হিসেবে হকিং পরিচিত। তার বিখ্যাত হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে ‘এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম : ফ্রম দ্য বিগ ব্যাং টু দ্য ব্ল্যাক হোল’ (A Brief History of Time: from the big bang to the black hole) বইটি।
স্টিফেন হকিং বেশ কয়েকটা বই লিখলেও সেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ‘এ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম’ বইটি। স্টিফেন হকিং লিখিত বইয়ের মধ্যে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই বইয়ের জন্যই মূলত হকিং ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৮৮ সালে প্রকাশের পর বইটি বেস্ট-সেলার বইয়ের মর্যাদা পায়। জানা যায়, প্রকাশিত হওয়ার পর ২৩৫ সপ্তাহ সর্বাধিক বিক্রিত বই ছিল এটি।
আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশ্বতত্ত্ববিদ হকিংয়ের লেখা বইটি পরবর্তী ২০ বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।
বইটিতে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও বিশ্বতত্ত্বের আঙ্গিকে নানা বিষয় উঠে এসেছে। মূলত মহাবিশ্বের পরিসর ও এর সৃষ্টি রহস্য সাধারণের উপযোগী করে লেখা হয়েছে এতে। আলোচিত ১১ টি বিষয় রয়েছে এতে।
আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশ্বতত্ত্ববিদ বইটিতে বিশ্বজগতের উৎস-সন্ধান করেছেন। কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে এ বিশ্বের, কখন কীভাবে এর উৎপত্তি ও বিবর্তন ; কত এর বয়স, এ সব বিবিধ বিশ্বতত্ত্বীয় প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানী নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে এই বই অবলম্বন করে পরিচালক ইরল মরিসন একটি জীবনীমূলক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যাতে স্টিফেন হকিং নিজেই অভিনয় করেন।
বইটি বিশ্বের ৩৫টি ভাষায় বইটি অনুবাদ করার তথ্য পাওয়া যায়। বাংলা ভাষাতেও বইটির অনুবাদ রয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’।