মৃত্যু ভয় না থাকলেই যেতে পারেন পৃথিবীর অন্যতম এই হন্টেড হাউস দেখতে
কলকাতা টাইমস :
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত উইনচেস্টার হাউসটি পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত হন্টেড হাউস বা ভুতুড়ে বাড়ি। সকলের কাছে যার পরিচিতি উইনচেস্টার মিস্ট্রি হাউস নামে।
১৬০ টি রুম বিশিষ্ট এই বাড়িটি একটি গোলক ধাঁধার মতো ! এতে রয়েছে অনেক অনেক গোপন পথ। এই বাড়িটির সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এখানে এমন একটি জায়গা আছে যেখানে ঢুকবেন এক দরজা দিয়ে আর বের হতে পারবেন ৩ দরজা দিয়ে।
কিন্তু এর ১টি দরজা আছে যেটি খুলে পা বাড়ালে সোজা আপনি গিয়ে পড়বেন ৮ ফুট নিচে কিচেনে! আছে এমনও সিঁড়ি যেটা ঠেকেছে গিয়ে সিলিংয়ে। আবার এমন সিঁড়িও রয়েছে যা দিয়ে বের হতে পারবেন না কোথাও!
এছাড়াও বাড়িটিতে রয়েছে ১৬০ টি রুম, ৪০ টি বেড রুম, ৩০ টি বাথ রুম, ১০,০০০ টি জানালা, ২,০০০টি সিঁড়ি, ৪৭ টি ফায়ার প্লেস।
সারাহ উইনচেস্টার নামক এক ভদ্র মহিলা ১৮৮৪ সালে এ বাড়িটি নির্মাণ করেন। সারাহ তার স্বামী মিস্টার উইলিয়াম আর মেয়ের মৃত্যুর পর সে এক আধ্যাত্মিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তারা সারাহ কে পরামর্শ দেন যে, তাকে প্রেতাত্মা থেকে বাঁচতে হলে এমন একটি বাড়ি নির্মাণ করতে হবে যার নির্মাণ কাজ যেন কখনোই বন্ধ না হয়! কারণ নির্মাণ কাজ বন্ধ হলেই সারাহ মারা যাবে!
এরপরই ১৮৮৪ সাল থেকে শুরু হয়ে টানা ৩৮ বছর দিন-রাত চলতে থাকে নির্মাণকাজ। তিনি যাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন তারা বাড়িটির সাততলা অবধি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দিন-রাত পরিশ্রম করেছিল। পুরো বাড়িতে মাত্র দুইটা আয়না রাখা হয়েছিল কেননা সারাহ’র ধারণা, ভূতেরা আয়নায় নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখলে নাকি ভয় পায়!
এতোকিছুর উদ্দেশ্য একটাই, ভদ্র মহিলা বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে বাড়িটিকেও তিনি গোলকধাঁধার মতো করে তৈরি করেছিলেন যাতে মৃত প্রেতাত্মারা বাড়িতে ঢুকলেও তাকে কখনই খুঁজে না পায় এবং একসময় পথ হারিয়ে ফেলে।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। বাড়ি তৈরির ৩৮ বছরের মাথায় মারা যান সারাহ এবং বাড়ি নির্মাণের কাজও তৎক্ষণাৎ স্থগিত হয়ে পড়ে। ‘উইনচেস্টার মিসট্রি হাউস’ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রতেই নয়, বিশ্বজুড়ে আজও এটি এক আজগুবি, পরিকল্পনাহীন ও ভূতুড়ে উদ্যোগের আশ্চর্য নিদর্শন হিসেবেই সকলের কাছে জনপ্রিয়।