কলকাতা টাইমস :
বাস্তুশাস্ত্ অনুসারে বাড়ির চার দেওয়ালের অন্দরে থাকা প্রতিটা জিনিস কোনও না কোনওভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। সে প্রভাব ভাল হতে পারে, হতে পারে মন্দও। আর ঠিক এই কারণেই তো বাড়িতে আনা প্রতিটি জিনিস বাস্তু নিয়ম মেনে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
আর যদি ধরুন কেউ এই সব নিয়ম না মানেন, তাহলে? সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন বাড়বে, তেমনি হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনাতেও আক্রান্ত হতে পারেন! শুধু তাই নয়, পরিবারে নানা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন সেগুলি হল…
১. ঘড়ি এবং বাস্তু: বাস্তুশাস্ত্র : বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে দরজার উপরে ভুলেও ঘড়ি টাঙানো উচিত নয়। এমনকি বাড়ির দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে রাখলেও নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তো ঘড়ি রাখতে হবে বাড়ির পূর্ব দিকে। এমনটা করলে দেখবেন দুঃখ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
২. আয়না: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে খারাপ শক্তির প্রভাব কমাতে আয়নার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে বাড়িতে আয়না রাখলে খারাপ শক্তি প্রতিফলিত হয়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। ফলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, এই সব উপকার পেতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে চৌকো নয়তো আয়তক্ষেত্রাকার আয়না ঝোলাতে ভুলবেন না যেন। তবে খেয়াল রাখবেন আয়নাটা যেন মাটি থেকে ৪-৫ ফুট উপরে টাঙানো হয়।
৩. ওয়াটার শোপিস: বাস্তু শাস্ত্রে জলের গুরুত্ব অনেক। কারণ বাস্তু দোষ কাটাতে এবং গৃহস্থে উপস্থিত খারাপ শক্তিরকে ঘর ছাড়া করে গুড লাককে রোজের সঙ্গী বানাতে জল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো বাড়িতে ছোট একটা ওয়াটার ফল রাখলে অথবা অ্যাকুরিয়ামের ব্যবস্থা করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তবে ভুলেও জল সম্পর্কিত শোপিস বা অ্যাকুরিয়াম বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখবেন না যেন!
৪. সাতটা ঘোড়া: অফুরন্ত আনন্দে থাকতে চান নাকি? সেই সঙ্গে অনেক অনেক টাকর মালিক হয়ে উঠতে বাড়িতে এমন একটি ছাবি রাখুন যাতে সাতটি ঘোড়া দৌড়াচ্ছে। আসল বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মন এমন ছবি বাড়িতে রাখলে খারাপ শক্তির প্রভাব যেমন কেটে যায়, তেমনি সৌভাগ্য রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে কর্মক্ষেত্রে থেকে অর্থনৈতিক স্টেটাস, সবেতেই উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তবে প্রশ্ন হল, বাড়ির ঠিক কোন দিকে রাখতে হবে এমন ছবি? বাড়ির মূল ফটকের সামনে ছবিটা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ঘোড়ার মুখ বাড়ির বাইরের দিকে থাকে। তবে যদি এখানে ছবিটা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে কোনও জানলার উল্টো দিকেও রাখতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৫. মানি প্লান্ট: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে মানি প্লান্ট গাছ রাখলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলাও মিটে যায় চোখের পলকে। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়েই যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই গাছটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন!
৬. কাঁচের পাত্র: বাস্তুশাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে বাড়ার মূল দরজার সামনে একটা পরিষ্কার পাত্রে ফুল রাখলে পরিবারে যেমন সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবারে সদস্যদের মধ্যে কোনও ধরনের সমস্যা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও আর থাকে না। তবে খেয়াল করে ফুলগুলি শুকিয়ে যাওয়ার আগে বদলে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
৭. মা লক্ষ্মীর ছবি: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির মূল ফটকের উপরে মা লক্ষ্মীর ছবি রাখলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ যেমন রদ হয়ে যায়, তেমনি মায়ের আশীর্বাদে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়াও লাগে।