করোনাকে ডাকতে না চাইলে হাসপাতালে যাওয়ার অবশ্যই মানুন
কলকাতা টাইমস :
অসুখ তো বলে-কয়ে আসে না। শারীরিক নানা অসুস্থতা দেখা দিতে পারে যেকোনো সময়। সমস্যা গুরুতর না হলে ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পথ্য নিতে পারেন। কারণ এই সময়ে হাসপাতাল যতটা এড়িয়ে চলা যায়, ততই ভালো। কিন্তু প্রয়োজনটা যদি জরুরি হয় তখন কী উপায়? চিকিৎসকের চেম্বার বা হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় থাকে না।
আমরা সবাই জানি করোনা ভাইরাস কীভাবে সংক্রমিত হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সংক্রমণ এড়াতে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের জরুরি অবস্থায় আপনি কোন কোন সতর্কতাগেুলো মেনে চলবেন তা জেনে নিন-
যেসব জিনিস হাতের কাছে অবশ্যই রাখবেন:
হাত ধোওয়ার সাবান, অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডিসপোজেবল টিস্যু পেপার এবং সাময়িক স্বস্তি পেতে যে ওষুধগুলো গ্রহণ করেছিলেন সেই সমস্ত ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। সাবান, স্যানিটাইজার হাসপাতাল বা চেম্বারে থাকলেও নিজের সুবিধার জন্য কাছে রাখবেন। শিশুদের ক্ষেত্রে, তাদের খাবার, ডায়াপার বাড়ি থেকে নিয়ে যাবেন।
যা করবেন: * চেম্বারে ঢোকার আগে নিজের হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
* হাত ধোয়ার পর ডিসপোজেবল টিস্যু পেপারে হাত মুছে নিন এবং সঠিক জায়গায় ফেলুন। কাপড় বা রুমাল দিয়ে হাত মুছবেন না।
* হাত মুছে ফেলার পর অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার ভালো করে হাতে লাগিয়ে নিন।
* চেম্বারে যদি বেশি লোক থাকে তাহলে বাইরে অপেক্ষা করাই ভালো। বসতে চাইলে অন্য রোগীদের থেকে এক মিটারের ব্যবধানে বসবেন।
* মুখে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
* চিকিৎসকের রুমে ঢোকার আগে আরেকবার স্যানিটাইজার হাতে দিয়ে নিন।
* দেখানো হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আরেকবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে বাড়ি ফিরবেন।
* বাড়ি ফিরে বাড়ির কোনও জায়গায় না বসে সোজা বাথরুমে গিয়ে গোসল করে নিন। সমস্ত জামাকাপড় সাবান দিয়ে কেচে নিন।
* চেম্বারে হাঁচি বা কাশি দিলে টিস্যু ব্যবহার করুন এবং টিস্যুটি উপযুক্ত স্থানে ফেলে দিন এবং হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিন।
শিশুদের ক্ষেত্রে যা করবেন:
* শিশুদের হাতও ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ডিসপোজেবল টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে দিন।
* চেম্বারে শিশুকে ছেড়ে দেবেন না। নিজের কোলেই শিশুকে রাখবেন। আবার অন্যের কোলেও শিশুকে দেবেন না।
* শিশুর মুখের লালা যেন চেম্বারের মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখবেন।
* শিশু যদি একটু বড় হয় তবে তাকেও মাস্ক পরান। বাচ্চা যাতে তার আঙ্গুল মুখের ভেতরে প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দেবেন।
* ডাক্তার দেখানো হয়ে যাওয়ার পর একইভাবে শিশুর হাত পুনরায় সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে, মুছে দেবেন।
* বাড়ি ফিরে শিশুকে গরম পানিতে গোসল করিয়ে দিন এবং তার কাপড়গুলো সাবানপানি দিয়ে ধুয়ে নিন।