কলকাতা টাইমস :
পুরুষ অথবা নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই বিবাহ যেন দ্বিতীয় জীবন। কিন্তু সেই বিবাহ ঠিক কখন করলে তা সুখের হবে? কোন কোন ক্ষেত্র আগাম বুঝে নেওয়া যায়, বিবাহ-পরবর্তী জীবন কেমন হবে?
বিয়ে নিয়ে সবারই নানা রঙিন ভাবনা থাকে। ঠিক কোন বয়সে বিয়ে হবে? যাকে ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করতে পারব তো? নাকি পারিবারিক বাধায় সব ঘেঁটে যাবে? প্রশ্ন অনেক। সবথেকে বড় প্রশ্ন বিয়েটা সুখের হবে তো?
এমন অনেক প্রশ্ন উঁকি দেয় মনে। অনেকে অবিশ্বাস করতে পারেন, কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র মনে করে যে, সব প্রশ্নের উত্তরই লেখা রয়েছে হাতের তালুতে। হাতের রেখা দেখে বোঝা যায়, কেমন হতে পারে বিবাহ-পরবর্তী জীবন। বোঝা যায়, কবে নাগাদ হতে পারে বিয়ে। পুরোপুরি মিলে যাবে এমন দাবি করা যায় না কারণ, শুধু হাতের রেখা দেখেই জ্যোতিষ বিচার হয় না। তার সঙ্গে আরও কিছু লক্ষণ দেখতে হয়। তবে হাতের রেখা দেখে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
প্রথমেই জেনে নিতে হবে বিয়ে সংক্রান্ত ইঙ্গিত দেয় কোন রেখাটি। জ্যোতিষ মতে এই রেখাটির নাম বিবাহরেখা বা ম্যারেজ লাইন। রেখাটি ঠিক তালুর উপরিভাগে থাকে না। হাতের পাশের দিকে থাকে কনিষ্ঠার নীচে। একটি নয়, একাধিক বিবাহরেখাও থাকতে পারে।
বিবাহ রেখা যদি ছোট মাপের হয় এবং তা যদি থাকে কনিষ্ঠা আঙুলের খুব কাছে হয় তবে বিয়ে দেরিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ৪০ বছর পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতেই হবে। ৪০-এর আশপাশের বয়সে গিয়ে এদের বিবাহ হয়। আর এই বিবাহরেখা যদি কনিষ্ঠার থেকে বেশ কিছুটা দূরে হয়, তবে বিয়ের ফুল তাড়াতাড়ি ফোটে। ২০ বছরের আশপাশেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। আর বিবাহরেখা যদি কনিষ্ঠা থেকে খুব দূরেও নয়, খুব কাছেও নয় এমনটা হয় তবে, বিয়ে হয় ৩০ বছরের আশপাশে।
হাতে একের বেশি বিবাহ রেখা থাকলে একাধিক বিয়ের যোগ থাকে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় বিবাহ একটা হলেও সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয় না। বিবাহের আগে বা পরেও একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়।
কী দেখলে বিয়ের কথা ভাবা উচিৎ নয়? কারও বিবাহরেখা যদি স্বাভাবিক রেখার মতো না হয়ে অনেকটা শিকলের মতো দেখতে হয় তবে বিয়ে না করাই ঠিক। বিবাহ রেখায় শিকলের মতো প্যাঁচ থাকার মানে, সেই সম্পর্ক কণ্টকিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ সব ক্ষেত্রে বিবাহের পরিণতি অত্যন্ত খারাপ হওয়ার অনেক নিদর্শন দেখা গেছে।