বর্ষাকালে লুজ মোশান হলে সঙ্গে সঙ্গে খান এই খাবারগুলো, তারপর দেখুন …
কলকাতা টাইমস :
অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে এমন জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে যায় যে তার প্রভাবে পেটের সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে পেটের যন্ত্রণা, বমি এবং সেই সঙ্গে বার বার পাতলা পায়খানা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখ দেয়। এক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে চিকিৎসা করলেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা একেবারে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। এক্ষেত্রে তারা বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা লুজ মোশানের মতো রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই কোনও কারণে যদি দিনের বেশিরভাগ সময় আপনাকে টয়লেটে কাটাতে হয়, তাহলে এই খাবারগুলি খেতে ভুলবেন না যেন!
দই : পেটের গণ্ডগোল হলেই যে খাবারটি একেবারে প্রথমেই খাওয়া শুরু করতে হবে, সেটি হল দই। আসলে এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ারা শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে স্টমাকের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে লুজ মোশানের ইতি ঘটতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল এমন অবস্থায় কতটা পরিমাণে দই খেলে উপকার মিলতে পারে? এক্ষেত্রে কম করে ২-৩ কাপ দই খেতেই হবে। তবেই রোগের থেকে নিস্থার মিলবে।
কলা : এই ফলটিতে উপস্থিত পেকটিন এবং ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমায়, তেমনি লুজ মোশানকে আটকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এমন ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে প্রতি ঘণ্টায় একটা করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রয়োজনে কলার সঙ্গে দই যোগ করেও খেতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন চাঙ্গা হয়ে উঠতে একেবারেই সময় লাগবে না।
বেদানা : যে কোনও ধরনের পেটের রোগের চিকিৎসায় বেদানার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো এমন ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে এই ফলটিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা। আসলে এমন সময় দিনে ২-৩ গ্লাস বেদানার রস খেলে শরীরে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়ারিয়ারর প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
আদা : ২০০৭ সালে আমেরিকান ক্লিনিকাল সোসাইটির প্রকাশ করা একটি রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ ছিল যে আদায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ দেহের অন্দরে আক্রমণ শানাতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের দ্রুত মেরে ফেলে। সেই কারণেই তো পেটের সংক্রমণের মতো রোগে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে এক কাপ জলে ১ চামচ আদার গুঁড়ো মিশিয়ে প্রথমে জলটা ফোটাতে হবে। তারপর জলটা ছেঁকে নিয়ে তা পান করলেই দেখবেন কেল্লাফতে!
হলুদ : বারে বারে জলের মতো পটি, সেই সঙ্গে স্টামক পেনও আছে? তাহলে সময় নষ্ট না করে এক গ্লাস জলে হাফ চামচ হলুদ গুড়ো মিশিয়ে ঝটপট পান করে ফেলুন। দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে। আসলে হলুদে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান পেটের সংক্রমণ কমানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া সংক্রান্ত নানাবিধ লক্ষণের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দারচিনি : এক কাপ জলে ১ চামচ দারচিনি গুঁড়ো এবং হাফ চামচ আদা মিশিয়ে জলটা ফুটিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে পেটের রোগ সারতে সময়ই লাগে না। আসলে দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।