বাইকে এই স্টিকার থাকলেই আপনার সর্বনাশ

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথ শপথ নেওয়ার পর থেকেই সেই রাজ্যে জনপ্রিয় হয়েছে ‘অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড’। রাস্তায় মেয়েদের উত্যক্ত করা, মেয়েদের পিছু নেওয়া বা তাদের দিকে অশালীন ইঙ্গিত বা মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া স্বভাব যাদের, সেই সমস্ত ছেলেকে শায়েস্তা করাই এই অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াডের কাজ।
যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের প্রতিটি শহরে অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।
কিন্তু ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠে গিয়েছে যে, ‘রোমিও’দের শায়েস্তা করার নামে আদপে বহু নিরাপরাধ যুবককেও হয়রান করছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশের বরেলিতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা যেন সেই অভিযোগেই নতুন করে ইন্ধন জোগাচ্ছে।একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এ দিন বরেলির গভর্নমেন্ট গার্লস ইন্টার কলেজের সামনে টহল দিচ্ছিল এএসপি রবিনা এবং সার্কেল অফিসার রজনীশের নেতৃত্বাধীন অ্যান্টি-রোমিও বাহিনি। সেই সময়েই একটি বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ানো তিন যুবককে আটক করে পুলিশ।
যখন তিন যুবক পুলিশের কাছে জানতে চান যে, কোন অপরাধে তাঁদের আটক করা হল, তখন অ্যান্টি-রোমিও বাহিনীর সদস্যরা নাকি জানান, তাঁদের বাইকে লাগানো একটি স্টিকারে নজর পড়ার পরেই পুলিশ তাঁদের আটক করেছে।
কিন্তু কী এমন ছিল যুবকদের বাইকে লাগানো সেই স্টিকারে? সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এই প্রশ্ন করলে পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, স্টিকারে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘আই অ্যাম ওয়েটিং ফর ইউ’।
অ্যান্টি-রোমিও বাহিনির মতে, স্টিকারের আকারে লেখা এই বার্তা নাকি যথেষ্ট অশালীন, এবং মহিলাদের পক্ষে অবমাননাকর।
আটক করার পরে বাইকটিকে কোতওয়ালি থানায় চালান করা হয়। ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাক্টের ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
কিন্তু এই ঘটনার পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, মেয়েদের সম্ভ্রম রক্ষার তাগিদে অ্যান্টি-রোমিও বাহিনী কি একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলছে না? তা ছাড়া বাইককে সাজানোর জন্য বাইকে নানা ধরনের স্টিকার লাগানো যাঁদের স্বভাব তাঁরাও আতঙ্কে।