কলকাতা টাইমস :
এই গ্রহের যা কিছু সুন্দর ছিল, সেগুলির মধ্যে ছিলেন এঁরাও। কিন্তু কিছু মানুষ গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়েই আনন্দ পায়। নিজের স্বার্থে সুন্দরকে রক্তাক্ত করতে ওদের বাধে না। তাই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের একাধিক বিশ্বসুন্দরীদের। সবচেয়ে সুন্দরীর মুকুট ওঠা সেই সব লাস্যময়ীদের রক্তাক্ত দেহ মিলেছে বার বার। হারিয়ে যাওয়া সেই লাস্যময়ীদের সঙ্গে পরিচয় করা যাক।
১. মনিকা স্পিয়ার (মিস ভেনিজুয়েলা): ২০০৫ সালে ভেনিজুয়েলার মডেল মনিকা স্পিয়ার বিশ্বের পঞ্চম সবচেয়ে সুন্দরী নারীর শিরোপা পান। কিছুদিনের মধ্যেই মনিকা ও তাঁর স্বামীকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী। মনিকার ৫ বছরের কন্যারও পা ভেঙে দেয় তারা। শেষ হয়ে যায় এক সুন্দরীর জীবন।
২. মারিয়া হোসে আলভারাদো (মিস হন্ডুরাস): মারিয়াকে খুন করে কবর দিয়ে দিয়েছিল তাঁরই এক বন্ধু। মাটি খুঁড়ে মারিয়া ও তাঁর বোনের দেহ মিলেছিল হন্ডুরাসের এক প্রত্যন্ত এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মারিয়ার খুনের সঙ্গে জড়িত তাঁর বয়ফ্রেন্ড। কপালে দুটি পরপর গুলি করে খুন করা হয়েছিল আলভারাদোকে। মাত্র ১৯ বছরেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ওই সুন্দরীর জীবন।
৩. অ্যালেক্সান্দ্রা পেত্রোভা (মিস রাশিয়া): রাশিয়া-সুন্দরী অ্যালেক্সজান্দ্রাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯ বছর বয়সী এই রাশিয়ান মডেলকে তাঁর বাড়ির দরজার সামনে গুলি করে দুষ্কৃতিকারীরা।
৪. জিল অ্যান ওয়েদারওয়াক্স (মিস হলিউড): খুনের রহস্য আজও সমাধান হয়নি। ১৯৯৮ সালে জিলের গলা কাটা দেহ মিলেছিল ফ্রেসনোতে। খুনের পর নানা তত্ত্ব উঠে আসে। পুলিশের অনেকে দাবি করে, ওয়েদারওয়াক্স দেহব্যবসায় জড়িত ছিলেন। ড্রাগ পাচারচক্রেও যুক্ত ছিলেন। গ্যাংওয়ারে খুন হয়েছেন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি বিশ্বাস করেন না ওয়েদারওয়াক্সের পরিবার।
৫. জেনেসিস কারমোনা (মিস ট্যুরিজম): ভেনিজুয়েলার এই সুন্দরীকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল বিদ্রোহ করে। দেশে নারীদের উপর অপরাধ বাড়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন জেনেসিস। রাস্তাতেই প্রকাশ্যে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।