এই মহিলাদের যন্ত্রনা জানলে ব্যথা পাবেন আপনিও
কলকাতা টাইমস :
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্মীয় কারণে, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথার নামে করা হয় এই ষন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া। বিরুদ্ধে নিয়ম অনেক রয়েছে। কিন্তু মিসর, আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো এলাকায় নিয়মের তোয়াক্কা করে না আমজনতার একাংশ। ফল, নির্বিচারে চলে কিশোরী কন্যাদের যোনিচ্ছেদ প্রক্রিয়া। নিরীহ কিশোরীদের চিল চিৎকার কট্টরপন্থীদের কানে গিয়ে পৌঁছায় না। কিন্তু এবার ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রথার নামে এই যন্ত্রণাদায়ক প্রথার অবসান করতে উঠে পড়ে লেগেছে মিসরের প্রশাসন। কারণ সাম্প্রতিক সমীক্ষায় তাদের সামনে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সে দেশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মহিলারাই যোনিচ্ছেদের ফলে যৌনসঙ্গমের সময় অর্গাজম নামক সুখানুভূতি থেকে বঞ্চিত।
যন্ত্রণাদায়ক এই প্রক্রিয়ায় মহিলাদের যোনির অনেকটা অংশই শরীর থেকে বাদ চলে যায়। যার ফলে তাঁদের শরীর যৌনক্রিয়ায় অনেক পরে সাড়া দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যৌনক্রিয়ার সময় মহিলারা কোনো অনুভূতিই অনুভব করতে পারছেন না। মিলনের সময় যখন একটি শরীর সাড়াই না দেয় তাহলে সঙ্গীও সুখানুভূতি থেকে বঞ্চিত হন। যার ফলে বাড়ছে দাম্পত্য কলহ এবং বিচ্ছেদের মতো ঘটনা।
মিসরে ইতিমধ্যেই মহিলাদের যৌনাঙ্গ ছেদের প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ এই প্রক্রিয়ায় শামিল থাকলে তাঁর ন্যূনতম সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এতদিন সেভাবে এই আইন প্রয়োগ করা হতো না। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় টনক নড়েছে প্রশাসনের। তাই মহিলাদের অবৈধ যোনিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে আরও কড়া হতে চলেছে সে দেশের সরকার।