তারকাদের সঙ্গে অন্ধ ভক্তদের কান্ড জানলে মাথা ঘুরে যাবে !
কলকাতা টাইমস :
কী বিড়ম্বনা রে ভাই! কেউ পেয়েছেন বিয়ের প্রস্তাব, কারও বাবা-মাকেও ফোন করা হয়েছে। কেউ আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে দেখা করতে এসেছেন প্রিয় তারকার সঙ্গে। বলিউড সেলেবদের এরকমই কিছু ‘জাবরা’ ফ্যানদের কথা জেনে নেওয়া যাক।
সুস্মিতা সেন: ২০০৮ সালে হঠাৎ পরপর দামি উপহার পেতে শুরু করেন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী সুম্মিতা। অজ্ঞাতপরিচয়ধারী ওই ফ্যান এরপর পাঠান বিয়ের পোশাক ও গয়না। এরপরই আসে হুমকি চিঠি-সহ অশ্লীল মেসেজ। বিয়ে না করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বঙ্গতনয়াকে! পুলিশে অভিযোগ করতে বাধ্য হন সুস্মিতা।
জন আব্রাহাম: ‘দোস্তানা’ ছবির পর এক জন পুরুষ অনুরাগী নিয়মিত ফলো করতেন জনকে। বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোনও করেছিলেন। বাধ্য হয়ে পুলিশে জানান জন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: ২০১৪ সালে তখন বার্সেলোনায় শুটিংয়ে ব্যস্ত পিগি চপস। সেই সময়ে তার মুম্বইয়ের আবাসনের বাইরে দিনের পর দিন এক তরুণকে দেখা যেত। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে এক দিন ধরেন। ওই ফ্যানের সঙ্গে থাকত মিষ্টির প্যাকেট, ফুল ও বালা!
হৃত্বিক রোশন: অ্যানা নামে এক রুশ তরুণী রোজ হৃত্বিকের জুহুর বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেন। অন্ধেরির অফিসেও পৌঁছে যান তিনি। তাকে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শেষে পুলিশ এসে বিষয়টি সামলায়।
ক্যাটরিনা কাইফ: ২০০৯ সালে টানা নয় মাস এক ফ্যান অনুসরণ করেছিলেন বলিউডের বার্বি ডলকে। শুটিং থেকে বাড়ি সর্বত্র তাকে দেখা যেত। ক্যাটের ফ্ল্যাটের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই ফ্যান। ক্যাটরিনা যদিও ফ্যানের নামে পুলিশে অভিযোগ জানাননি।
শহিদ কাপুর: অভিনেতা রাজকুমারের মেয়ে বাস্তবিকা পণ্ডিত প্রিয় অভিনেতাকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দেওয়া শুরু করেন! শহিদের পাড়ায় ফ্ল্যাট পর্যন্ত কিনে নেন তিনি। সর্বত্র ফলো করা শুরু করেন শহিদকে। বাধ্য হয়ে পুলিশে নালিশ করেন শহিদ।
দিয়া মির্জা: ২০০৯ সালে এক নামী চিকিৎসক ফলো করতেন দিয়াকে। আংটি আর ফুল উপহার পাঠিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। প্রথমে পাত্তা না দিলেও পরে পুলিশে অভিযোগ করেন দিয়া।
অক্ষয় কুমার: আক্কির সঙ্গে দেখা করতে লখনউয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন এক তরুণী। ২০০৯ সালে আক্কির গাড়ি নিয়মিত ফলো করেও তার দেখা না পেয়ে নিজের কবজি ভেঙে ফেলেছিলেন নিজেই। অক্ষয় হাসপাতালে পৌঁছে দেন তাকে।
কঙ্গনা রানাওয়াত: ২০১০ সালে কঙ্গনার জিমে পৌঁছে যান এক ফ্যান। নিয়মিত কঙ্গনাকে দিয়ে আসতে শুরু করেন ফুল। উপহার পাঠান। ইমেলবক্স ভরে যায় প্রেমপত্রে। বিরক্ত হয়ে পুলিশের সাহায্য নেন নায়িকা।
রবিনা ট্যান্ডন: ‘খিলাড়ি গার্ল’-কে নিজের স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিলেন এক ফ্যান। রবিনার স্বামী ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাডানির গাড়িতে এবং রবিনার বাড়িতেও ঢিল ছোড়া শুরু করেন। কারণ অন্য পুরুষের সঙ্গে রবিনাকে তিনি দেখতে পারতেন না! এ ক্ষেত্রেও পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন রবিনা।
অভিষেক বচ্চন: ‘দশ বাহানে করকে লে গ্যয়ে দিল’-এর একজন ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার নিজেকে অভিষেকের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দেওয়া শুরু করেন। নিজের কবজি ভেঙে অভিষেককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি!
কারিনা কাপুর: নিয়মিত দামি উপহার পাঠাতেন বেবোর এক ফ্যান। ডিজাইনার শাড়ি, ল্যাপটপ কিছুই বাদ ছিল না। বেবো অবশ্য বিষয়টা খুব একটা পাত্তা দেননি।
শ্রুতি হাসান: নিয়মিত শ্রুতির ফ্ল্যাটের বেল বাজাতেন এক ফ্যান। শ্রুতির ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে তার গলা টিপে ধরতেও চেষ্টা করেছিলেন। কোনও মতে ফ্যানের হাত ছাড়িয়ে পালান শ্রুতি। পড়ে দেখা যায়, সে শ্রুতির ছবির স্পট বয়!
সেলিনা জেটলি: ‘লাভ হ্যাজ নো বাউন্ডারি’ ছবির শুটিংয়ের সময় ২০০৭ সালে সেলিনার দিকে এগিয়ে যান এক তরুণ। পুলিশে অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।
তুষার কাপুর: নয়াদিল্লির তরুণী শিখা ২০১২ সালে তুষারকে ফলো করা শুরু করেন। কেক আর ফুল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করতেন তার জন্য। তুষারকে দেখার জন্য সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকতেন!
রাজেশ খান্না: এক তরুণী নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে পাঠাতেন রাজেশকে। বহু বার রাজেশকে ফলো করেছেন তিনি