নতুন চাকরিতে জয়েনিং আগে এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে সফলতা আপনার পেছনে দৌড়োবে
কলকাতা টাইমস :
কাজ ছোট-বড় যাই হোক না কেন, তাতে সফলতার স্বাদ পেতে কে না চায় বলুন! কিন্তু চাইলেই তো হল না। ভাগ্য সহায় থাকলে তবেই না জুটবে “মেওয়া”। না হলে তো সবই ফক্কা! কিন্তু গুড লাককে পকেটে পোরা যায় কীভাবে তা বলতে পারেন? মশাই এই প্রশ্নেরই তো উত্তর খোঁজা হল এই প্রবন্ধে। তাই তো বলি, চটজলদি যদি সফল হতে চান, তাহলে ভুলেও এই লেখাটা এড়িয়ে যাবেন না যেন! শাস্ত্রে যে যে মন্ত্রগুলিকে সাফল্যের মন্ত্র বা “মন্ত্র অব সাকসেস” হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে, সেগুলি হল…
শ্রী গণেশ মন্ত্র: হিন্দু ধর্মে গণেশ ঠাকুরকে সমৃদ্ধির দেবতা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই তো বন্ধু নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে এক মনে “ওম গাম গনপাতায়ে নমহঃ”, এই মন্ত্রটি জপ করার মধ্যে দিয়ে গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মজীবনে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত শ্রদ্ধা সহকারে গণেশ ঠাকুরের পুজো করলে জীবন পথে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা ছোট-বড় নানা সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না।
রাম মন্ত্র: নতুন অফিসে জয়েনিং-এর সময় মনে মনে এই রাম মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে দেখবেন তার প্রভাবে নতুন জয়গায় বিজয় পতাকা স্থাপন করতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে মনের জোড় এতটাই বেড়ে যাবে যে চাকরি জীবন একেবারে জল-ভাত হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করলেও একই কাজ করবেন। দেখবেন এত মাত্রায় সাফল্য আসবে যে টাকা রাখার জায়গা করে উঠতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি জপ করতে হবে, সেটি হল- “পরবাসি নগর কিজাই সাব কাজে, হৃদয়ারাশি কসলপুর রাজা!” প্রসঙ্গত, চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময়ও যদি মনে মনে এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে ফল মেলে একেবারে হাতে-নাতে!
বিয়ে জনিত সমস্যা দূর করতে: বন্ধু জীবনকে সার্বিকভাবে সুখ-সমৃদ্ধিতিতে ভরিয়ে তুলতে যে শুধু কর্মক্ষেত্রেই সফলতার প্রয়োজন পরে, তা নয়। কারণ যতক্ষণ পারিবারিক জীবন সুন্দর হয়ে উঠছে না, ততক্ষণ কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয় না। তাই বন্ধু বিয়ে সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে যদি মন খারাপ থাকে, তাহলে “জননি গৌরি অনুকুল সিয়া হিয়া হার্ষিন ন জয় কাহি, মাহজুল মঙ্গল মূল বাম আঙ্গা ফার্কান লাগে”, এই সীতা মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন মনের মতো জীবনসঙ্গী তো মিলবেই, সেই সঙ্গে পরিবারিক সুখ-শান্তিও বজায় থাকবে। প্রসঙ্গত, যে কোনও ধরনের বিবাহ সম্পর্কিত কলহ মেটাতেও এই মন্ত্রটি কিন্তু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে: জীবনে চলার পথে এমন অনেক সময় আসে, যখন মানসিক অবস্থা এমন হয় যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। এমন ক্ষেত্রে যদি এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে কিন্তু বন্ধু দারুন উপকার মিনতে পারে। কারণ শাস্ত্র মতে “জেহি বিধি হোই নাথ হিতো মোরা কারাহু সো ভেগি দাস মে তোরা,” এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে মন এত মাত্রায় শান্ত হয়ে যায় যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কোনও সমস্যাই হয় না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের সমস্যাও মিটে যায় চোখের পলকে।
খারাপ ভাগ্যকে পিছু ছাড়া করতে: খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময়ই কোনও ভাল কাজ হতে হতে একেবারে শেষ মূহুর্তে এসে খারাপ হয়ে যায়। এমনটা কেন হয় জানা আছে? যখন খারাপ ভাগ্য পিছু নয়, তখনই সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে আর না ঘঠে, তা সুনিশ্চিত করতে একটা মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। দেখবেন দারুন ফল পাবেন। কী মন্ত্র? “সাথেনা হৃষিকেশ তাভ প্রকৃতিয়া জগত পারাহুশায়েত আনুরাআনুরাজয়িতা রাকশানি ভিতানি দিশোদ্রাভান্তি সার্ভে নম শান্তি চা সিদ্ধসঙ্গ”। এই মন্ত্রটি নিয়মিত জপ করলে দেখবেন ব্যাড লাকের প্রভাব কেটে যেতে শুরু করবে। ফলে সাফলচার স্বাদ পেতে সময় লাগবে না।