দিনের বেলা পেচাঁ বা এই লক্ষণগুলি দেখলে বুঝে নিন বাড়িতে কারোর মৃত্যু আসন্ন
মানবজীবনে মৃত্যু এক অনিবার্য বিষয়। তবু তাকে ঘিরে আমাদের বিস্ময়ের অন্ত নেই। দুর্ঘটনাতেই হোক অথবা দীর্ঘ রোগ ভোগের পরেই হোক, মৃত্য আসে আকস্মিকভাবেই। তার আগমনকে কেউ আগাম জানতে পারে না। কিন্তু ভারতবর্ষ সহ পশ্চিমের অনেক দেশের বিশ্বাস এই যে প্রকৃতির মধ্যে এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে, যা ‘মৃত্যুর অ্যালার্ম’ হিসেবে কাজ করে। বেশ কিছু প্রাণীর আচরণে বিরাট তারতম্য যেমন এই জানান হিসেবে গণ্য হয়, তেমনই কিছু নিষ্প্রাণ বস্তুও জানান দেয় আসন্ন মৃত্যুর।
জেনে রাখুন তারই কয়েকটি—
• মৃত্যুর সঙ্গে কালো বিড়ালের সংযুক্তি পশ্চিম গোলার্ধের এক কমন বিষয়। মরণাপন্ন ব্যক্তির শয্যার পাশে কালো বিড়াল দেখা দিলে মৃত্য সন্নিকট— এমনটাই মনে করেন সেখানকার মানুষ।
• মৃত্যুর আগে অন্য অনেক বিদেহী আত্মা নাকি ঘোরা-ফেরা করে। এদের উপস্থিতি বিড়ালদের উপরে প্রভাব ফেলে। তেমন অশুভ সংকেত পেলে বিড়ালরা একটা ঘোলাটে গলায় ক্রমাগত ডাকতে থাকে।
• বাড়িতে কারোর মৃত্যু আসন্ন হলে অনেক সময়ে একটি পাখি নাকি অসুস্থ ব্যক্তির ঘরে প্রবেশ করে। অনেক সময়ে পায়রা উড়ে এসে জানলায় বসে।
• মৃত্যুর পূর্বাভাষ যে প্রাণীরা সর্বাগ্রে পায়, তাদের মধ্যে অন্যতম হল কাক। একটি বা একসঙ্গে ৬টি কাক দর্শন মৃত্যুসংবাদ ডেকে আনে বলে প্রবাদ রয়েছে। কারোর আসন্ন মৃত্যুকে কাকেরা অস্বাভাবিক ডাক দিয়েও জানান দেয়।
• দিনের বেলায় পেঁচা দেখা গেলে তা অত্যন্ত অশুভ। আর সে যদি মাথার উপরে চক্কর খায়, তবে জানতে হবে আসন্ন মৃত্যুটি কোনও নিকটজনের।
• অনেকেই বলেন কুকুর নাকি মৃত্যুকে আগে থেকে দেখতে পায়। বাড়ির কারোর মৃত্যু আসন্ন হলে পোষা কুকুর অস্বাভাবিক আচরণ করে। তারা জানলার নীচে দাঁড়িয়ে মাথা হেঁট করে চেঁচায়। এটা নাকি অনিবার্য মৃত্যুর চিহ্ন।
• বাড়িতে হঠাৎ কাচ ভেঙে যাওয়া, বিনা কারণে আয়নায় ফাটল দেখা দেওয়া ইত্যাদি আসন্ন মৃত্যুর ইঙ্গিত।
• কেউ যদি স্বপ্নে বার বার সাদা ঘোড়া দেখেন অথবা এক আকাশে একাধিক চাঁদ দেখেন, তবে তার নিকটের কেউ প্রয়াত হতে পারেন বলে বিশ্বাস।
• অসুস্থ ব্যক্তি যদি প্রয়াত প্রিয়জনের নাম ধরে ডাকতে শুরু করেন, তবে ধরে নিতে হবে তার মৃত্যু আসন্ন।