November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

এই দেবতাদের নাম নিয়ে কাজ শুরু করলে সফল হবেনই 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

শ্বরকে আমরা নানা নামে ডেকে থাকি। কেউ ভগবান শিব বা হনুমান, তো কেউ মা কালি অথবা মা লক্ষী নামে চিনে থাকেন। যে নামেই ডাকুন এদের শক্তির প্রভাবে যে বাস্তবিকই জীবনের ছবিটা বদলে যেতে পারে, সে বিষয়ে সত্যিই কোনও সন্দেহ নেই। আর তার প্রমাণ হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়েই পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, পুরাণ এবং আরও সব প্রচীন গ্রন্থে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে জীবনের প্রতিটি বাঁকে সামনে আসা বাঁধাকে সরাতে বাস্তবিকই এই দেব-দেবীরা নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেকোন কাজ শুরু করার আগে যদি এদের নাম নেন তাহলে সফলতা হাতের মুঠোয়
ভয় দূর করতে এবং মনের জোর বাড়াতে: ছোট ছোট বিষয়ে কি ভয় পেয়ে যান? মনে হয় হৃদপিন্ড যেন মুখে এসে যাবে, তাহলে প্রতিদিন “ওম মানি পাদ্মো হাম”, এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করলে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে ভয় ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের দুঃখ নিমেষে দূর হয়। ফলে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসে।

চরম সফলতার সন্ধান পেতে: “তায়তা ওম বেকেনজ বেকেনজ মাহা বেকনজ রাৎজা সমুদেগ সোহা”, এই বুদ্ধ মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, চরম সফলতা লাভের পাশাপাশি যদি সুস্থ জীবনের স্বাদ পেতে চান, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

যে কোনও বাঁধা পেরতে: যতক্ষণ শ্বাস নিচ্ছেন কোনও না কোনও বাঁধা আসবেই আসবে। তাই বলে ভেঙে পরলে চলবে বলুন! তাই তো বলি বন্ধু এবার থেকে কোনও কাজে আটকে গেলে মনে মনে গণেশ দেবতার নাম নেবেন। দেখবেন নিমেষে সব বাঁধা সরে যাবে। সেই সঙ্গে সেই কাজে সফলতা আসবে চোখে পরার মতো। আসলে গণেশ দেবতা হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো বাপ্পা যখন পাশে থাকে, তখন কোনও কিছু নিয়েই চিন্তা থাকে না।

অনেক অনেক টাকার মালিক হতে: অল্প সময় বড়লোক হয়ে উঠতে চান নাকি? তাহলে প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন এবং মনে মনে পাঠ করুন “ওম শ্রিম মহা লক্ষ্মী সোয়াহা” মন্ত্রটি, দেখবেন পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যেতেও দেখবেন সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, যে গৃহস্থে মা লক্ষ্মীর আগমণ ঘটে, সেখানে পিছু পিছু ধন দেবতা কুবেরও প্রবেশ করেন। ফলে টাকা নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না।

শক্তিশালী বুদ্ধ মন্ত্র: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে “ওম বাসুধারায়া সবহা”, এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০৮ বার জপ করলে কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো! শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘঠতে শুরু করে, যে কারণে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।

মনের মতো চাকরি পেতে: পেট ভরাতে পয়সা তো কামাতেই হবে, তাই তো বেশিরভাগই মনের ইচ্ছাকে গলা টিপে মেরে হাতের কাছে যা চাকরি পান, তাই করতে শুরু করে দেন। এতে পকেট তো ভরে, কিন্তু মন ভরে কি? একই অবস্থা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে শ্রী রামের নাম নেওয়া শুরু করুন। দেখবেন মনের মতো চাকরি পেতে সময় লাগবে না।

পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে: শাস্ত্র মতে প্রতিদিন হনুমান চল্লিশা পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে রোগমুক্ত হয় শরীর। প্রসঙ্গত, পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতেও শ্রী হনুমান সাহায্য করে থাকেন। তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে এবং সুস্থ শারীর যদি বাকি জীবনটা কাটাতে হয়, তাহলে প্রতিদিন হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

Related Posts

Leave a Reply