হঠাৎ অভাবে পড়লে এটাই বাঁচাবে ….
কলকাতা টাইমস :
বেঁচে থাকতে গিয়ে সবসময়েই যে সুখ-শান্তিতেই বসবাস করতে পারবেন এরকম কোনো কথা নেই। মাঝে মাঝে অভাবের মধ্যে দিয়েও সংসারকে পথ চলতে হয়। একসময় যে সংসার সুখে পরিপূর্ণ ছিল সেই সংসারেই আবার হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে আর্থিক সমস্যা। তবে এটাকে স্থায়ী সমস্যা ভেবে বসে থাকলে চলবে না। সাময়িক এই অসুবিধাটিকে যারা যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে পারে তারা খুব সহজেই এই দুঃসময়টুকু অতিক্রম করতে পারে। আর যারা এই সময়ে দিশা হারিয়ে ফেলেন, তাদের জন্য এই সময়টুকু হয় খুব কঠিন এবং দীর্ঘস্থায়ী।
হঠাৎ চাকরী চলে যাওয়া, ব্যবসায় মন্দাভাব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এসব কারণে সাধারণত সংসারে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত সংসারেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়টাতে জীবনের ধরন পাল্টাতে গিয়ে একে অপরের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। এটা নেই, ওটা নেই বলে চিৎকার-চেচামেচি শুনতে শুনতে কর্তা ব্যক্তিটিও স্বাভাবিক কাজকর্মে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। তাই এই সময়ে পরিবারের কর্তীদের এই মনোভাব পরিহার করতে হবে। তার মনে সাহস ও অনুপ্রেরণার সঞ্চার করতে হবে।
তবে পরিবারের ছোটদের ওপর হঠাৎ করে সরাসরি এর প্রভাব পড়তে দেওয়া ঠিক নয়। তাদেরকে কৌশলে পরিস্থিতির সাথে মানানসই করে তুলতে হবে। তারা আগের মতো এটা ওটা বায়না করবেই। তাই বলে তাদেরকে সরাসরি না বলে দেওয়াটা তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
পরিবারের এই দু:সময়ে পরিবারে আমরা যারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া রয়েছি তারাও কিছুটা সাহায্য করতে পারি। অন্যান্য সময়ের মতো এই সময়ে অহেতুক আবদার ও চাহিদা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এই সময়টাতে ট্যাক্সিতে চলাফেরা না করে বাসে চলাচল করতে পারি। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারি। এছাড়া আয় করার আরও অনেক ভালো উৎস রয়েছে। আপনার বন্ধুদের দামী দামী মোবাইল ফোন রয়েছে কিন্তু আপনার নেই এই চিন্তা না করে নিজেকে দ্রুত পরিস্থিতির সাথে খাপখাওয়ানের চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি ধৈর্য ধারণ করে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে।
আর প্রত্যেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের অবশ্যই এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই অল্প অল্প করে কিছু সঞ্চয় করতে হবে। এই সঞ্চিত ১০০ টাকা অর্থ সংকটের সময় এক লক্ষ টাকার সমান কাজ করবে। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। অহেতুক খরচ কোনোভাবেই করা যাবে না। এই সময়টাতে একটু বেশি হিসেবি হতে হবে। আবার এমন হিসেবিও হওয়া যাবে না যাতে করে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিসটি বাদ দিয়ে দিবেন। তাই সব দিক ঠিক রেখেই এই সময়টাতে যে অর্থ রয়েছে তার ব্যবস্থাপনা করতে হবে।