February 23, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

জীবনকে সুখ সাচ্ছন্দে ভরপুর করতে চাইলে রোজ সকালে এনাকে প্রণাম করতে ভুলবেন না 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

শাস্ত্র মতে সূর্য হল সর্বশক্তির উৎস। তাই তো সর্বশক্তিমানকে জলদান করলে নেগেটিভ এনার্জির ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চুরান্ত সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন…
১. পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে: শাস্ত্র মতে সূর্য হল “সোল অব দা ইউনিভার্স”। অর্থাৎ প্রাণের উৎস। তাই তো সকাল বেলা সূর্য প্রণাম করলে জীবনে চলার পথে আসা যে কোনও ধরনের বাঁধা সরে যায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সুখ-শান্তি বজায় থাকে পরিবারের অন্দরে। তাই সারা জীবনটা যদি আনন্দে কাটাতে চান, তাহলে প্রতিদিন সকালে উঠে সূর্যকে জলদান করতে ভুলবেন না যেন! দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন।

২. শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত সূর্যকে জলদান করলে মনের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা খারাপ চিন্তা এবং নেগেটিভিটি দূরে পালাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে নানাবিধ রোগের প্রকোপ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এক কথায় শরীর, মন এবং আত্মাকে যদি চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে সূর্য প্রণামের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।

৩. কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা বাড়ে: হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে সূর্য মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন সকালে যদি সূর্য দেবতার আরাধনা করা যায়, তাহলে মনের মতো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চুরান্ত সফলতার স্বাদ পেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, সূর্য মন্ত্রটি হল- “ওম সূর্য নমহঃ”।

৪. খারাপ শক্তির প্রভাব কমে: নিয়িমত সূর্য প্রমাম করলে লোকের খারাপ দৃষ্টির প্রভাবে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ব্ল্যাক ম্যাজিকের প্রভাবও কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে সূর্য দেবকে জল দান করতে হবে। প্রসঙ্গত, জলটা নিতে হবে তামার পাত্রে, আর সেই জলে অল্প পরিমাণে অশ্বগন্ধা এবং লাল ফুল ফেলে তারপর সেটি নিবেদন করতে হবে।

৫. ভয় দূর হয়: শাস্ত্র মতে নিয়মিত সূর্যদেবকে অর্ঘ প্রদান করলে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ভয় দূরে পালায়, সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস এতটা বেড়ে যায় যে, যে কোনও ধরনের বাঁধা পেরতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ইগো, রাগ এবং লোভের মতো খারাপ দোষের প্রভাবও কাটতে শুরু করে।

৬. মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মেষরাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত সূর্য প্রণাম করলে মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।

৭. অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বাড়ে: বৃষরাশির জাতক-জাতিকারা সূর্যদেবের আরাধনা করলে যে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়।

৮. দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মেলে: জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে মিথুনরাশির অধিকারিরা যদি সূর্য প্রমাম করার অভ্যাস করেন, তাহলে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটে। ফলে গৃহস্থের অন্দরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।

৯. নানাবিধ রোগের হাত থেকে রক্ষা মেলে: কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত সূর্য মন্ত্র পাঠ করলে মাথা যন্ত্রণা এবং নানা ধরনের চোখের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। ফলে অল্প দিনেই শরীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

১০. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সিংহরাশির জাতক-জাতিকারা সূর্য দেবের আরাধনা করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। ফলে জীবন আনন্দে ভরে ওঠে।

Related Posts

Leave a Reply