ঘোরার অন্যধরণের স্বাদ পেতে চাইলে আপনাকে যেতেই হবে ভগ্নস্তূপের এই সাম্রাজ্যে
আমরা প্রায়ই ঘোড়ার সময় হয় পাহাড় বাছি নয় সমুদ্র। কিন্তু কখনো কি এমন এক জায়গায় গেছেন যেখানে শতাব্দী ধরে পড়ে থাকা ইতিহাসের অস্থি পিঞ্জর আপনাকে নিজের সেই স্বর্নিম দিনগুলোর ইতিহাস বলতে অপেক্ষা করে আছে। যাবেন নাকি এমন এক ভিন্ন স্বাদ পেতে। তাহলে অবশই ঘুরে আস্তে পারেন উত্তর প্রদেশের কালিঞ্জর দূর্গ।
উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলায় রয়েছে এই দূর্গ। ১২০৩ ফুটের এই দূর্গে দশম শতাব্দীর বুন্দেলখণ্ডের এক অন্যতম তোখ ধাঁধাঁনো স্থাপত্য ছিল। বিন্ধ্য পর্বতমালা সংলগ্ন এই এলাকাতে এককালে রাজপুত চান্ডেলারা রাজত্ব করেছেন। এরপর সোলাঙ্কি , তথা গুপ্ত বংশ রাজ করেছে এখানে। পরবর্তীকালে এখানে আসেন মুসলিম শাসকরা।
সংস্কৃতদতে ‘কাল’ কথার অর্থ সময়, আর ‘জর’ কথার অর্থ ধ্বংস। কথিত আছে কণ্ঠে বিষ ধারণের পর শিব নীলকণ্ঠ রূপে এই এলাকায় আসেন। যেখানে তিনি কাল বা সময়কে উপেক্ষা করার শক্তি পান। সেই থেকেই এই দূর্গের তথা এলাকার নাম কালিঞ্জর।
ইতিহাস বলছে, এই কালিঞ্জয় দূর্গে ১৫৪৫ খ্রীষ্টাব্দে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মৃত্যু হয় শের শাহ সুরির। তাঁর আগে মুহম্মদ গজনি ও মুঘল সম্রাট বাবর এই দূর্গে বিভিন্ন যুগদে দখল করেছেন। পরবর্তীকালে সিপাহি বিদ্রোহের সময়ও এই দূর্গ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বিন্ধ্যপর্বতের রুক্ষ সৌন্দর্যের মায়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলার হাতছানি অনেকেই এড়াতে পারেন না। গরমকাল বাদে বছরের যেকোনও সময়েই এই ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
এই দূর্গের মধ্যে রয়েছে নীলকণ্ঠের মন্দির। খাজুরাহো বিমানবন্দর থেকে কালিঞ্জর দূর্গ ১০০ কিলোমিটার। আর রেলপথে গেলে, আতারাতে নামতে হবে। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কালিঞ্জর দূর্গ। সড়ক পথে এলাহাবাদ থেকে কালিঞ্জর ২০৫ কিলোমিটার আর খাজুরাহো থেকে ১৩০ কিলোমিটার , আর চিত্রকূট থেকে ৭৮ কিলোমিটার। এখানে যাওয়ার জন্য বহু বাসও পাওয়া যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে।