বেশিদিন বাঁচতে চাইলে পরের জন্মে এই দেশগুলোতে জন্মানোর কথা ভাবতে পারেন !
কলকাতা টাইমসঃ
পৃথিবীর কিছু দেশ আছে যেখানকার মানুষজন অনেক দিন বাঁচে। এমনিতেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে মানুষ তার আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে। তবে কিছু স্থানের মানুষের গড় আয়ু সত্যিই বিস্ময় সৃষ্টি করে। এই প্রথম বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ ষাটের কোঠায় পা দেওয়ার আশা করতে পারেন, এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা আরো জানায়, ৬০ বছর পেরোনো মানুষের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুনে পৌঁছবে।
এর পেছনে সাগরেরও আশীর্বাদ রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটারের ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান হেলথ এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলের কাছে যাদের বসবাস তারা অনেক দিন বাঁচেন। জন্মের পর কোন দেশ বা অঞ্চলের মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল কত হতে পারে, তার একটি তালিকা করেছে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকে উঠে এসেছে সেই তালিকা। এখানে সেরা ৫টি দেশের কথা বলা হলো।
১. মোনাকো
এর জনসংখ্যা মাত্র ৩৮ হাজার ৬৯৫ জন। মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৯ বছর ৪ মাস। বিশ্বের এই দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশে মানুষ সবচেয়ে বেশিকাল বাঁচবে বলে আশা করা হয়। পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। এর সীমান্তে আছে ভূমধ্যসাগর। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যকর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবার আর অপেক্ষাকৃত কম মানসিক চাপযুক্ত জীবন অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখে তাদের।
২. জাপান
এ দেশের মানুষ যে অনেক দিন বাঁচে তা সবাই জানেন। জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৪। সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৫ বছর ৩ মাস। এ দেশের মানুষ সুস্থ-সবলভাবেই ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচে, জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নিয়মিত কায়িক শ্রম, স্বাস্থ্যসেবা এবং অনেক বয়স পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ তাদের বেশি আয়ু দিয়েছে।
৩. সিঙ্গাপুর
ছোট একটি দেশ। জনসংখ্যা ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০১। তাদের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৫ বছর ২ মাস। বলা হয়, রোগ প্রতিরোধে আগেভাগেই স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে তাদের রোগের প্রকোপ তেমন দেখা যায় না। কাজেই সুস্থ অবস্থায় জীবনযাপন তাদের আয়ু বৃদ্ধি করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরেই মানুষের আয়ু এত বেশি।
৪. সান ম্যারিনো
জনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫৫৭। আর সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৩ বছর ৩ মাস। ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক জানায়, এখানকার মানুষ গড়ে ৮৩ বছর ৩ মাস বেঁচে থাকার আশা করতে পারেন। তাদের স্বাস্থ্যকর ভূমধ্যসাগরী অঞ্চলের খাবার আর স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন টাটকা ও সতেজ সবজি এর মূল কারণ। জীবনযাপনে তাদের স্ট্রেসও বেশ কম।
৫. আইসল্যান্ড
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে আসা দেশটির জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮০। এখানকার মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৩ বছর ১ মাস। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাসই তাদের এই আয়ু দিয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আবার অনেকের মতে, জেনেটিক বিষয়ও রয়েছে এখানে।