বাঁচতে চাইলে প্লাস্টিকের কাপে চা কখনই নয়
কলকাতা টাইমস :
আজকাল রাস্তার ধারে দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার দৃশ্য হামেশাই দেখা যায়। রাস্তার ধারের চা-কফি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্লাস্টিকের কাপে দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, প্লাস্টিকের কাপে চা খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
প্লাস্টিকের তৈরি জলের বোতল ও শিশুদের দুধের বোতল, প্লাস্টিকের পাত্রের খাবার মাইক্রোওয়েভ অভেনে গরম করা, প্লাস্টিক মোড়কে বিক্রি হওয়া খাবার, প্রসেস্ড ফুড, ইনস্ট্যান্ট নুডলস- এসব জিনিসের ব্যবহারই ডেকে আনছে নানা রোগ।
গবেষকদের মতে, প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা বিসফেনল-এ নামের টক্সিক এ ক্ষেত্রে বড় ঘাতক। গরম খাবার বা পানীয় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে ওই রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মেশে। এটি নিয়মিত শরীরে ঢুকলে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু কমে যায়। হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বকও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি, স্তন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
গবেষণায় জানা গেছে, প্লাস্টিকের কাপ বানাতে সাধারণত যে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেগুলো বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ক্লান্তি, হরমোনের ভারসাম্যতা হারানো, মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া-সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন- বোতল বা পাত্র তৈরিতে ব্যবহৃত পলিভিনাইল ক্লোরাইডকে (পিভিসি) নরম করা হয় থ্যালেট ব্যবহার করে। এই থ্যালেট আমাদের শরীরের পক্ষে বিষ।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে এই রাসায়নিক নিয়মিত ঢুকতে থাকলে শ্বাসকষ্ট, স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, কম বুদ্ধাঙ্ক, অটিজম, ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে।
তাই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে চাইলে এখই বর্জন করুন প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস ও পাত্র।