সারাজীবন ভালো থাকতে চাইলে এদের থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন
কলকাতা টাইমস :
দুর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা থেকে মানুষকে সাবধান করতে রাস্তাঘাটে সাধারনত গাড়ির পেছনে লেখা থাকে ‘১০০ হাত দূরে থাকুন’। ঠিক এমনি কিছু সম্পর্কের নারী রয়েছেন যাদের কাছ থেকেও ১০০ হাত দূরে থাকাই ভালো। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে ব্যাপক। আসুন জেনে নেই তাদের সম্পর্কে-
বন্ধুর পুরাতন প্রেমিকা:
যার সাথে আপনি প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছেন সে আপনার বন্ধুর সাবেক প্রেমিকা। এই ধরনের সম্পর্কের ধারে-কাছেও না ভেড়া ভালো। কারণ এতে করে একদিকে আপনার বন্ধুর সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হবে। এতে করে সম্পূর্ণ বন্ধু মহলেই আপনার ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
অতীতের সম্পর্ককে ভুলে যান:
অতীতে সে আপনার জীবনে ছিল। এখন আর নেই। যে কোনো কারণেই হোক সে আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এখন আপনি আপনার মতো করে জীবনটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন। হঠাৎ করে অতীতের সেই মানুষটির সাথে দেখা হলে অনেকেই নতুন করে সেই সম্পর্কটাকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে। এটি মারাত্মক একটি ভুল। সে একবার যখন আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও সে আবার আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। প্রথমবার হয়তোবা আপনি আপনার জীবনটিকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে পেরেছেন, দ্বিতীয়বার সেরকমটি নাও পারতে পারেন।
যে আপনার পকেটকে ভালোবাসে:
বর্তমান সময়ে একটা কথা খুব জোরালো ভাবে শোনা যায়। তা হলো, চেহারা বা মন কোনো বিষয় নয়। পকেটে টাকা থাকলে বিশ্ব সুন্দরীদেরও প্রেমের ফাঁদে ফেলা যায়। কারণ তাদের কাছে প্রেমিকের টাকাই বড় কথা। এই ধরনের মেয়ের পাল্লায় পড়লে দয়া করে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। টাকা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আপনার সাথে তার সম্পর্কও শেষ হয়ে যাবে। আপনার মনের মানুষটির মধ্যে যদি এ ধরনের কোনো লক্ষণ দেখতে পান তা হলে আপনাকে ছেড়ে যাওয়ার আগেই আপনি তাকে ছেড়ে দিন।
পাড়ার রায়চৌধুরীর মেয়ে কিংবা পাড়ার মাস্তানের বোন/মেয়ে:
এরকম যেসব মেয়েদের ব্যাকগ্রাউন্ড তাদের পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করাই ভালো। কারণ আপনার চেয়ে তুলনামূলক ধনী মেয়ের সাথে মিলন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর পাড়ার নেতা গোছের বড় ভাইয়ের বোন বা মেয়ে হলে দয়া করে হাত-পা ভাঙার আগে সরে পড়ুন।
বন্ধুর বোন:
মানুষের চোখে কখন কাকে ভালো লেগে যায়, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। এমনটি আপনার কাছের কোনো বন্ধুর বোনের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তবে বন্ধুর বোনের ক্ষেত্রে এই ভালোলাগাটাকে অবশ্যই সংযত করতে হবে। কারণ এই কারণে আপনাদের বহুদিনের বন্ধু, যে আপনার জন্য তার নিজের জীবন দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না। সে শুধুমাত্র এই কারণে আপনার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন করতে দ্বিতীয়বার ভাববে না।