রোজ ধূপ-ধুনো দিয়ে তুলসির পুজো করলে কল্পনাও করতে পারবেন না কি হয়…
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
অফুরন্ত সুখ-সমৃদ্ধ এবং সুস্থ শরীরের অধিকারি হয়ে উঠতে যদি চান, তাহলে নিয়মিত মা তুলসির পুজো করতে ভুলবেন না। প্রসঙ্গেত, যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে মায়ের আরাধনায় লিপ্ত হলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন…
শরীর এবং মন শুদ্ধ হয়: শাস্ত্র মতে যে বাড়িতে তুলসি গাছ রাখা হয়, সে বাড়ির প্রতিটি কোণায় বাতাসের সঙ্গে তুলসি গাছের গন্ধ ছডিয়ে পরে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্য়মে আমাদের শরীরে প্রবেশ করার ফলে মন যেমন শুদ্ধ হয়ে ওঠে, তেমনি শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, মনের অন্দরে জায়গা পাওয়া নানা কুকথা এবং খারাপ চিন্তাও মিটে যেতে শুরু করে তুলসির সুগন্ধে।
ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ হয়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে নিয়মিত তুলসি গাছের পুজো করা হয়, সে বাড়িতে প্রতি মুহূর্তে ভগবান বিষ্ণুর নেক দৃষ্টি থাকে। তাই তো কখনও কোনও খারাপ ঘটনা ঘটে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ অসুখে ভোগার আশঙ্কা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি ছোট-বড় যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে।
পুজোর কাজে লাগে: খেয়াল করে দেখবেন তুলসি গাছের শরীরের প্রতিটি অংশ কোনও না কোনওভাবে পুজোর কাজে লেগে থাকে। কখনও তুলসি পাতা, তো কখনও ফুল, মূল বা ডাল কাজে লাগানো হয়ে থাকে নানা পুজো সম্পন্ন করতে। তাই বাড়িতে তুলসি গাছ থাকার অর্থ হল ধর্মের জাগরণ ঘটা। আর যেখানে স্পিরিচুয়াল শক্তির বিকাশ ঘটে, সেখানে নেগেটিভ শক্তি জায়গাই করে উঠতে পারে না। ফলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
তুলসি গাছের পেস্ট: শাস্ত্র মতে প্রতিদিন তুলতি গাছের ডালকে বেঁটে বানানো পেস্ট দিয়ে যদি ভগবান কৃষ্ণের পুজো করা যায়, তাহলে পার্থ এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের উপর থেকে নেক দৃষ্টি কখনও সরিয়ে নেন না। ফলে জীবনে কখনও প্রেমের ঘাটতি দেখা দেয় না। সেই সঙ্গে নানাবিধ বাঁধা যেমন সরে যায়, তেমনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও ঘটে চোখে পরার মতো। তাই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোনও ধরনের সমস্য়ার সম্মুখিন যদি হয়ে থাকেন, তাহলে তুলসি গাছকে কাজে লাগিয়ে ভগবান কৃষ্ণের পুজো করা শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
তুলসি মাটি: ১০০ দিন শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করলে যে উপকার পাওয়া যায়, সেই সমান উপকার পাওয়া যায় প্রতিদিন সকালবেলা অল্প পরিমাণে তুলসি মাটি গায়ে লাগিয়ে ভগবান কৃষ্ণের পুজো করলে। তাই অপার সুখের সন্ধান পেতে যদি চান, তাহলে তুলসি মায়ের হাত ধরে ভগবান কৃষ্ণের আরধনায় বিলীন হয়ে যান। দেখবেন সব ধরনের কষ্ট মিটে যাবে।
পাপের শাস্তি থেকে রক্ষা : হিন্দু শাস্ত্র মতে বাড়ির বাইয়ে যাওয়ার সময় আথবা বাড়িতে আসার সময় তুলসা গাছ দেখলে সব ধরনের পাপের হাত থেকে রক্ষা মেলে। শুধু তাই নয়, ব্রাহ্মণ হত্যার মতো পাপ করলেও কোনও ধরনের শাস্তি মেলে না যদি কেউ বাড়ির বাইরে থেকে আসার সময় তুলসি গাছের সামনে দিয়ে আসে তো!
কুদৃষ্টির খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা মেলে: আমাদের উন্নতিতে সবাই যে বেজায় খুশি হয়, এমন নয় কিন্তু। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা ঈর্ষার আগুন জ্বলে সারাক্ষণ আমাদের ক্ষতি চেয়ে আসছেন। এমন কুদৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত তুলসি গাছের পুজো করতে হবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে ব্যক্তি নিয়মিত তুলসি গাছের পুজো করেন বা যারা বাড়িতে তুলসি গাছ স্থাপন করেন, তাদর উপরে কুদৃষ্টির কোনও খারাপ প্রভাবই পরে না। সেই সঙ্গে য়ে কোনও ধরনের খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
তুলসি গাঁথা: হিন্দু শাস্ত্রের দিকে যদি নজর ফেরালে জানতে পারবেন যারা নিয়মিত তুলসি মায়ের পুজো করেন অথবা তুলসি মায়ের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাইকে গল্প করে থাকেন, তাদের পুনরায় জন্ম নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না।