ইফতার মানেই ভাজাপোড়া, কিন্তু…
কলকাতা টাইমস :
ইফতার মানেই ভাজাপোড়ার বিশাল সমাহার। রোজায় ইফতার বললে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে প্লেট ভর্তি পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, বাটি ভর্তি ছোলা, থালা ভরা জিলাপি আর মুড়ি মাখা। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে ইফতারের মেন্যুতে চলে আসছে এসব খাবার। অনেকে তো মনে করেন ভাজাপোড়া আর ঝাল মিষ্টি এসব খাবার ছাড়া তাদের ইফতার অসম্পূর্ণই থেকে যায়।কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি সারাদিন রোজা রেখে এসব খাবার কতটা নিরাপদ? সারাদিন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পর ইফতার দিনের প্রথম আহার। এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে ইফতার মুখরোচক হবার চেয়েও বেশি হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত।
সারাদিন রোজা রেখে থাকতে হবে একটু বেশি সচেতন। কেননা এসময়ে শরীরে থাকবে জলের প্রচণ্ড তৃষ্ণা এবং দরকার পড়বে শারীরিক শক্তিও। কিন্তু একটু বেছে না খেলে এদুটোর কোনোটাই ঠিকমতো পূরণ হবে না।
রোজায় ভাজাপোড়া খাবার একদমই না খেলে সবচেয়ে ভালো করবেন। আর যদি খেতেই হয়, তাহলেও খুবই অল্প পরিমাণে এবং বেছে বেছে খাওয়াই উত্তম। কেননা এসব খাবারে লাভ তো নেইই বরং শরীরের ক্ষতি করে।
রোজায় যেহেতু গরম বেশি তাই ইফতার হতে হবে মৌসুমী ফল সমৃদ্ধ। এতে শরীরের জলের চাহিদাও পূরণ হবে আবার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাওয়া যাবে। আর এজন্য দামি দামি বিদেশি ফলও দরকার নেই।
দেশি ফল যেমন- আম, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস, লিচুর মতো দেশীয় ফলে ভরা এবং দামও হাতের নাগালের মধ্যে।
ইফতারের শুরুতেই অনেকে তৃষ্ণা মেটাতে একগাদা জল খেয়ে নেয়। এটা একেবারেই ঠিক না। ইফতারের শুরুতে এক ঢোক পানি খেতে হবে শুধু। তারপর অন্যান্য শক্ত খাবার যেমন, চিড়া ভেজানো, ফালুদা বা স্যুপ জাতীয় খাবার খেতে হবে অবশ্যই। এরপরই ফলমূল খাবেন। আগেই ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে।
এছাড়াও ইফতারের শুরুতে সবাই খেজুর খাওয়া খুবই ভালো অভ্যাস এবং ভীষণ রকম স্বাস্থ্যসম্মত। আর ইফতারে রান্না ছোলার চেয়ে কাঁচা ছোলা খাওয়া যেতে পারে। এসময়ে শরীরে প্রচুর শক্তির দরকার। যারা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন তাদের উচিত ছোলা আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে সেটা খাওয়া। এটি শরীরে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি জোগাবে।
ইফতারের আধা ঘণ্টা পর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। সঙ্গে অন্য স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার। এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললেই রোজায় শরীর ভালো থাকবে, স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদী কোনো ক্ষতি হবে না।