২০৫০ সালে পৃথিবী জুড়ে বেঁচে থাকা অর্ধেক মানুষ জলসংকটে ভুগবে

নিউজ ডেস্কঃ
‘তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হবে জল নিয়ে’ উক্তিটি পোপ ফ্রান্সিসের। আর জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনও এরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রমাগত বাড়ছে পানিও জলের চাহিদা।কিন্তু সেই সঙ্গে আনুপাতিক হারে বাড়ছে না জল।
সোমবার জাতিসংঘের দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ জল সংকটে ভুগবে। জলবায়ু পরিবর্তন, জলের চাহিদা বৃদ্ধি ও দূষিত জলের সরবরাহের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তবে কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ইস্পাত ও কংক্রিটের পরিবর্তে প্রাকৃতিক সমাধান যা মাটি ও বৃক্ষের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তার দিকে ঝুঁকলেই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতিসংঘের জলবিষয়ক দপ্তরের প্রধান গিলবার্ট হৌংবো বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমনা ভোগ, পরিবেশের ক্ষয়বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রভাবের কারণে সুস্পষ্টভাবে বিশুদ্ধ জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের নতুন পদ্ধতি প্রয়োজন।’ প্রতিবছর মানুষ প্রায় চার হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার জল ব্যবহার করে। এর ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় কৃষিক্ষেত্রে, ২০ শতাংশ শিল্পে এবং ১০ শতাংশ গৃহস্থালিকর্মে। গত ১০০ বছরে ব্যবহারিক জলের চাহিদা ছয়গুন বেড়েছে। আর প্রতিবছর এই চাহিদা ১ শতাংশ করে বাড়ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৪০ থেকে ১০২০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। এই সময়ে প্রতি তিনজনে দুজন শহরে বাস করবে। সেই সুবাদে বিশুদ্ধ জলের চাহিদা বহুগুন বেড়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। এর মধ্যে আবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জলজ অঞ্চলগুলো আরো প্লাবিত হবে এবং শুষ্ক অঞ্চলগুলো আরো শুষ্ক হবে। তাই জলের এই চাহিদা আরো বাড়বে।