৫৭ বছরে মাত্র ৯ জন এই বিরল ব্লাড গ্রূপের অধিকারী হয়ে পৃথিবীতে এসেছেন
এ, বি, ও প্রভৃতি রক্তের গ্রূপ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই জানেন। কিন্তু গোল্ডেন গ্রূপ সম্পর্কে শুনেছেন কখনো ! না তো ? আপনি কেন বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই সম্পকে। বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৭.৬ বিলিয়নের বেশি। এই জনসংখ্যার মধ্যে গত ৫৭ বছরে এমন ৪৩ জনকে পাওয়া গেছে, যাদের শরীরে বিরল গ্রুপের রক্ত রয়েছে। এই রক্তের গ্রুপকে ‘গোল্ডেন ব্লাড’ নামে ডাকা হয়।
সাধারণত রক্তের সেলগুলোতে ৩৪২টি অ্যান্টিজেন থেকে। এই অ্যান্টিজেনগুলোর কম্বিনেশনই নির্ধারণ করে সেই রক্তের গ্রুপ কী হবে। ১৯৬১ সালে এক নতুন ব্লাড গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়, যার আরএইচ সিস্টেমে ৬১ অ্যান্টিজেনের অস্তিত্ব ছিল না। এই প্রকার রক্তের নাম দেওয়া হয় ‘আরএইচ-নাল’। বিশ্বে মাত্র ৪৩ জনের শরীরে সেই সময়ে এই রক্তের সন্ধান পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র ৯ জন মানুষ এই রক্তের অধিকারী। দুষ্প্রাপ্যতার কারণেই এই গ্রুপটির নামকরণ হয় ‘গোল্ডেন ব্লাড’ .
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গোল্ডেন ব্লাড-এর অধিকারীরা ইউনিভার্সাল ডোনার, অর্থাৎ তারা অন্য যে কোনও ব্লাড গ্রুপের মানুষকে রক্ত দিতে সমর্থ। কিন্তু তাদের নিজেদের রক্তের প্রয়োজন পড়লে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ একটাই- দুষ্প্রাপ্যতা। কিন্তু এই রক্তের অধিকারীদের জীবন-যাপনে কোনও অসুবিধে হয় না। সামান্য রক্তাল্পতা তাদের থাকে বটে, কিন্তু সেটা মারাত্মক কিছু নয়।
তবে চিকিৎসকরা জানান, গোল্ডেন ব্লাড এর অধিকারীদের সাবধানে জীবন-যাপন করা উচিত। কোনও কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তাদের বাঁচানো মুশকিল।