মায়ানমারে কঠোর ফেসবুক, নিষিদ্ধ হলো সেনাপ্রধান সহ ২০ টি প্রধান অ্যাকাউন্ট
কলকাতা টাইমসঃ
মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসলো ফেসবুক। এই ইস্যুতে সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইং এবং সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ‘মিয়াওয়াড্ডি’ টিভিসহ ২০ ব্যক্তি ও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলো ফেসবুক কতৃপক্ষ।
এছাড়াও ফেসবুকে অনৈতিক আচরণ করায় ১২টি অ্যাকাউন্ট এবং ৪৬টি পেজ মুছে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ১৮টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, ৫২টি ফেসবুক পেজ মুছে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক কতৃপক্ষ। সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে তারা। এতে বলা হয়েছে, আমরা এই সব অ্যাকাউন্ট ও পেজের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করছি। মিয়ানমারে সংঘটিত হিংসা সত্যিই ভয়ঙ্কর।
ফেসবুক আরও জানিয়েছে, আমাদের তখনকার প্রযুক্তি ছিল ধীরগতির কিন্তু এখন তা অনেকখানি এগিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা এখন ঘৃণ্য মন্তব্য চিহ্নিত এবং কন্টেন্ট রিভিউর জন্য রিপোর্টিং টুলগুলোকে আরও উন্নত করতে পেরেছি। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা মায়ানমারে গোটা ঘটনার পেছনে এই সব ব্যক্তি ও সংগঠনের সক্রিয় থাকার প্রমাণ পেয়েছে। আমরা চাই তারা যেন আমাদের মাধ্যমে জাতিগত বিদ্বেষ ও ধর্মীয় উত্তেজনা আর ছড়াতে না পারে।
কতৃপক্ষের বক্তব্য, আমরা মায়ানমারে ফেসবুকের অপব্যবহার ঠেকাতে চাই। কারণ অসংখ্য মানুষ তথ্যের জন্য ফেসবুকের ওপর নির্ভর করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
সোমবার মায়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দেশের সেনাপ্রধান সহ পাঁচ শীর্ষ সেনা কমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন। এছাড়া এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিও সরকার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের স্বাধীন তদন্তে সহায়তা করেছে। দোষীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।