গত ১০ বছরে কোনো খুন-চুরি-দুর্ঘটনা হতে দেননি শহরের একমাত্র দৃষ্টিহীন পুলিশকর্মী
কলকাতা পুলিশ :
দেশ-দুনিয়ায় যে হালচাল তাতে গোটা একটি শহরের সুরক্ষায় রাখতে হয় অগুনতি পুলিশ। কিন্তু যদি কোনো শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব একজন পুলিশই পালন করে ! তাও আবার অন্ধ। কিন্তু বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনা সত্যি। আসলে এই সেই শহরে হয়তো অপরাধী নেই বলেই পুলিশের প্রয়োজন হয় না।
এমনই একটি শহর যেখানে মাত্র একজন পুলিশ ডিউটি করেন।তিনি আবার দৃষ্টি শক্তিহীন। তাতেই শহরের মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে বসবাস করছেন! শহরের নামটি হয়তো জানতে ইচ্ছা করছে, তাই না?
সেই শহরটি চীনে, যেখানে গত ১০ বছরে একটি অপরাধও সংঘটিত হয়নি। ওই শহরে মাত্র একজন পুলিশ পুরো শহর টহল দিয়ে বেড়ান। তবে আশ্চর্যের বিষয়, ওই পুলিশকর্মী আবার চোখেও দেখেন না। গ্লুকোমায় চোখ হারিয়েছেন ২০০২ সালে। কিন্তু তারপরও বহাল আছে চাকরিটি। তবে সেটি কারো করুণায় নয়, নিজ দক্ষতায়। অবশ্য প্রতিদিন তার সঙ্গে থাকেন তার স্ত্রী।
চীনের দক্ষিণ পশ্চিম শহর লানবা। সেখানে গেলে আপনার সঙ্গে দেখা হবে বছর তেতাল্লিশের ওই পুলিশ অফিসার প্যান ইয়ংয়ের, যিনি দৃষ্টিহীন হলেও শহরটাকে চেনেন হাতের তালুর মতো। চেনেন সেখানকার মানুষগুলোকেও। সিয়া চং পুলিশ স্টেশনের তিনিই একমাত্র পুলিশ অফিসার।শহরটি একেবারে ছোট নয়। সিয়া চং রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে চারদিকে ৩৮ কিলোমিটার এলাকা। যার মধ্যে রয়েছে ৩টি প্রশাসনিক গ্রাম, ১৩টি ছোট গ্রাম। এসব কিছুর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
গত ১০ বছরে এই শহরে কোনো খুন-খামারি, চুরি-ছিনতাই, কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি! এর নেপথ্য ভূমিকায় কিন্তু তিনি। রয়েছেন প্যানের স্ত্রী তাও হংগিং। ৪৬ বছর বয়সী ওই মহিলা লোকাল রেলওয়ে স্টেশনের রক্ষী। প্রতিদিন স্বামীর সঙ্গে তিনিও সারাশহর চক্কর মারেন।