গানে ‘ডুবন্ত বিড়ালের চিৎকার’, আদালতে মহিলা
কলকাতা টাইমস :
যিনি গান গাইতে লজ্জা পান কিংবা গানের গলা ভালো না, তিনি অন্তত বাথরুমে গলা ছেড়ে গান গাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু ব্রিটেনের নরউইচের এক নারীর সেই অধিকারটুকু হরণ করা হলো। বলা যায়, বাধ্য হয়েও তার গানের ওপর এলো নিষেধাজ্ঞা। যেনতেন উপায়ে নয়, রীতিমতো আদালতের নির্দেশে নিজ বাড়িতে বসেও গান গাওয়া মানা তার।
প্রতিবেশীরা তার গান শুনে অস্থির, একপর্যায়ে ধৈর্য্য হারান। তাদের অভিযোগ, ওই নারী নাকি এমনভাবে গান গাইতে থাকেন, শুনলে মনে হয় কোনো বিড়াল পানিতে ডুবে মরছে। অর্থাৎ, পানিতে ডুবতে যাওয়া বিড়াল নাকি এভাবেই চিৎকার করে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশীরা ওই নারীকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে সোজা আদালতের দ্বারস্থ হন।
নারীর বয়স চল্লিশের কোঠায়। গত ডিসেম্বরে ২৪ মাসের ‘ক্রিমিনাল বিহেভিয়ার অর্ডার’-এ শাস্তি দেওয়া হয় তাকে। তার অপরাধ- তিনি এমন উচ্চস্বরে গান গাইতে থাকেন যা বাড়ির বাইরে অবধি পৌঁছে প্রতিবেশীদের বিরক্ত করে। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিবেদশীরা অভিযোগ করেছেন, এ বছর ইতিমধ্যে তিনবার আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছেন তিনি।
ওই নারীর দুটো তলা ওপরেই থাকেন একজন। গায়িকা থাকেন নিচ তলায়। ভুক্তভোগী বলেন, আমি নিচ থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির মতো তার গান শুনতে থাকি।
আরেক ভুক্তভোগীর কথা লিখেছে ডেইলি মেইল। তিনি বলেন, তার বিরক্তিকর অপেরার গান ৪০ মিটার দূর থেকেও শোনা যায়। সত্যিকার অর্থেই তার গান শুনলে মনে হয় কোনো বিড়াল ডুবতে যাওয়ার সময় চিৎকার করছে।
কয়েকজন তার গান রেকর্ডও করেছেন মোবাইল ফোনে। পরে তা আদালতে শোনানও হয়েছে।
নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গের দায়ে আটক করা হয়। জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।