মোটর মেকানিকের কাজের ফাঁকেই গান লিখে বিখ্যাত হন ইনি
কলকাতা টাইমস :
কয়েকদিন আগেই ৮৪-তে পা দিলেন গুলজার। তাঁর মতো কবি, লেখক, পরিচালকের জীবন অল্প কথায় বলা অসম্ভব। এর আগে বহুবার বাংলালাইভ গুলজারের জীবনের নানা গল্প শেয়ার করেছে আপনাদের সঙ্গে। এবার গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো সারার পালা তাঁরই জীবনের বাছা বাছা কিছু মুহূর্তের টুকরো কথায়—
১৯৩৪-এর ১৮ অগাস্ট পাকিস্তানের অন্তর্গত ঝিলম জেলায় মাখন সিং কালরা আর সুজন কৌরের কোলে জন্মেছিলেন গুলজার। বড়ো হয়ে মুম্বই আসেন রোজগারের জন্য। তখন তিনি ওরলির এক গ্যারাজে মোটর মেকানিক।কাজের ফাঁকেই গান, শায়েরি, গল্প লিখতেন। যেটা তাঁর বাবার খুব অপছন্দ ছিল। আসল নাম সম্পূরণ সিং কালরা | বাবা লেখালিখি পছন্দ করতেন না তাই ছদ্মনাম’গুলজার দীনভি’ নামে লেখা শুরু করেন তিনি‚ সেই নামই পরে হয়ে যায় শুধুই গুলজার |
বিমল রায়ের ‘বন্দিনী’ ছবিতে গুলজার প্রথম গান লেখেন, ‘মোরা গোরা অঙ্গ লই লে’। তাঁর বিখ্যাত আরও গান, অ্যায় জিন্দেগি গলে লাগা লে, তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি, তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোয়ি, মেরা কুছ সামান ইত্যাদি। এরপর হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জন্য ‘আনন্দ’, ‘বাবুর্চি’, ‘গুড্ডি’, ‘নমকহারাম’ আর অসিত সেনের জন্য দো দুনি চার, খামোশি, সফর-এর চিত্রনাট্য লেখেন।
১৯৭১-এ তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ‘মেরে আপনে।’ ১৯৮৮-এ তিনি টিভির জন্য পরিচালনা করেন মেগা সিরিয়াল ‘মির্জা গালিব’। গুলজারের লেখা কবিতা পাঞ্জাবি, ঊর্দু ছাড়াও ব্রজ ভাষা, হরিয়ানভি, মাড়োয়াপিতেও অনুদিত হয়েছে।
অভিনেত্রী রাখীকে বিয়ে করেছিলেন গুলজার। মেয়ে মেঘনার বয়স যখন মাত্র এক তখন আলাদা হয়ে যান রাখী—গুলজার। কিন্তু আজও তাঁদের ডিভোর্স হয়নি।সুচিত্রা সেনের সঙ্গে ছবি করেছিলেন ‘আঁধি’। মিসেস সেনের দাপুটে অভিনয় দেখে তিনি ঠাট্টা করে নায়িকাকে ‘স্যার’ বলে ডাকতেন!