রাশিয়া বিশ্বকাপে ২৩ সদস্যের ফরাসি দলে ১৫ জনই আফ্রিকান !
কলকাতা টাইমসঃ
রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী দল ফ্রান্স। ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলে চলেছে দলটি। এরই মধ্যে তারা জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে। তবে চলতি বিশ্বকাপে ২৩ সদস্যের ফরাসি দলে ১৫ জনই আফ্রিকান অথবা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। আলজিরিয়া, ক্যামেরুন, কঙ্গো, সেনেগাল, নাইজিরিয়া থেকে আসা ফুটবলারদের হাতেই এখন ফরাসি পতাকা।
স্টিভ মানদান্দা: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনসাসাতে তার জন্ম। ছোটবেলাতেই চলে আসেন ফ্রান্সে। খেলেন ফ্রান্সেরই মার্সেই ক্লাবে।
প্রেসনেল কিম্পেম্বে: তার জন্ম ফ্রান্সে। বাবা কঙ্গোর নাগরিক, মা হাইতির। এখন খেলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে ক্লাবে।
স্যামুয়েল উমতিতি: ক্যামেরুনে জন্ম। দু’বছর বয়সে ফ্রান্সে চলে আসেন। এখন খেলেন বার্সেলোনায়।
আদিল রামি: জন্ম ফ্রান্সে। বাবা-মা দু’জনেই মরক্কো থেকে আসা। এখন খেলেন ফ্রান্সেরই মার্সেই ক্লাবে।
সিদিবে: জন্ম ফ্রান্সে। বাবা-মা দু’জনেই মালি থেকে আসা। এখন খেলেন ইতালির মোনাকো ক্লাবে।
মেন্ডি: জন্ম ফ্রান্সে হলেও বাবা-মা দু’জনেই সেনেগালের নাগরিক ছিলেন। খেলেন ম্যানচেস্টার সিটিতে।
পল পোগবা: জন্ম ফ্রান্সে। বাবা-মা দু’জনেই আফ্রিকার গিনি থেকে এসেছিলেন। খেলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
টমাস লেমার: নাইজিরীয় বংশোদ্ভূত লেমারের জন্ম ফ্রান্সে। খেলেন ইতালির মোনাকো ক্লাবে।
কোরেন্তিন টোলিসো: জন্ম ফ্রান্সে। আফ্রিকার দেশ টোগো থেকে এসেছিলেন বাবা-মা। খেলেন জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবে।
এনগুলো কান্তে: মালি থেকে ফ্রান্সে এসেছিল তাঁর পরিবার। তবে কান্তের জন্ম ফ্রান্সেই। খেলেন ইংল্যান্ডের চেলসি ক্লাবের হয়ে।
মাতুইদি: ফ্রান্সে জন্ম। তবে বাবা অ্যাঙ্গোলা ও মা কঙ্গো থেকে আসা। খেলেন ইতালির জুভেন্টাসের হয়ে।
এনজোঞ্জি: ফ্রান্সে জন্ম। তবে বাবা-মা দুজনেই ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে আসা। খেলেন স্পেনের সেভিয়া ক্লাবের হয়ে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে: বাবা ক্যামেরুন ও মা আলজিরিয়া থেকে এলেও এমবাপ্পের জন্ম ফ্রান্সেই। খেলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে।
ফেকির: জন্ম ফ্রান্সে। বাবা-মা দু’জনেই আলজিরিয়া থেকে আসা। খেলেন ফ্রান্সেরই লিও ক্লাবের হয়ে।
দেম্বেলে: বাবা নাইজিরিয়া ও মা সেনেগাল থেকে এসেছিলেন ফ্রান্সে। তবে দেম্বেলের জন্ম ফ্রান্সেই। খেলেন বার্সেলোনার হয়ে।