এই ৬টি ক্ষেত্রে ‘না’ অবশই বলুন, নাহলে …
খুব ছোট একটি শব্দ ‘না’। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা বিরাট প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। কোনো বিষয়ে ‘না’ বলাটা অতি জরুরি বিষয় হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্র নিমিষেই বুঝে নিতে হয়। সঙ্গে থাকছে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
১. যখন আপনি ক্লান্ত : সুস্বাস্থ্যের জন্যে ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। যখন ক্লান্ত, তখন বিশ্রামের বিকল্প নেই। তাই বিশ্রাম গ্রহণের জন্যে যেকোনো বিষয়কে ‘না’ বলে দিন। নয়তো মারাত্মক স্বাস্থ্যক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
২. যখন আপনি অস্বস্তিতে আছেন : বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু সেখানে এমন একজন আসছেন যাকে নিয়ে আপনি দারুণ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে পারেন। এসব পরিস্থিতি এড়াতে শক্ত কণ্ঠে ‘না’ বলতে ভুল করবেন না। বিষাক্ত অবস্থা স্ট্রেস সৃষ্টির বড় কারণ। এমন অনেক পরিস্থিতি থাকে যখন আপনার স্বস্তিকর অবস্থা একমাত্র চাহিদা হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনের প্রতি ইতিবাচক থাকুন।
৩. যখন প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন না : অনেক সময়ই মানুষ তার ব্যস্ততাকে নিজের গুরুত্ব বোঝাতে প্রকাশ করেন। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে এ পদ্ধতির প্রয়োগ ব্যাপক। কিন্তু এ বিষয়টি ক্রনিক স্ট্রেসের কারণ। পেশাজীবনে সফলতার অন্যতম শর্ত হয়ে ওঠে কাউকে সময় দেওয়ার শর্ত দিলে তা মেনে চলা। যখন কাউকে সময় দিতে পারবেন না, তখন তাকে সরাসরি ‘না’ বলে দেওয়াটা ভালো। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। তাই সময় যদি নাই মেলে, তবে প্রতিশ্রুতি দিবেন না।
৪. যখন আপনার আগ্রহ নেই : এমন অনেক কাজ আছে যা কেবল অন্যের জন্যে করতে হয়। ভালো না লাগলেও কাউকে কাজে বা এমনিতে সঙ্গ দিলে হিতে বিপরীতটা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো সমস্যা মানিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু পেশাজীবনে যে কাজে আপনার আগ্রহ নেই, সেখানে ‘না’ বলে ফেলা দরকার। নয়তো আপনার কাছে যা অর্থহীন তা কেন করত যাবেন। তাই বুঝিয়ে দিন, আপনি এমন কাজ করতে চাইছেন না।
৫. কেবল অন্যকে খুশী করার কাজে : কাউকে সম্মতি দিচ্ছেন। কিন্তু এর একমাত্র কারণ তাকে খুশি করা। সে ক্ষেত্রেও ‘না’ বাঞ্ছনীয় শব্দ হয়ে ওঠে। অন্যকে খুশি করা যখন আপনার পছন্দ নয়, তখন তা থেকে বিরত থাকুন। মূলত সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং সদস্যদের কাছ থেকে আপনি ক্রমাগত চাপ অনুভব করবেন। অনেক ক্ষেত্রেই অন্যকে তুষ্ট করা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না আপনার। ভালো না লাগলে ‘না’ করে দিন।
৬. আপনার ইচ্ছা : শেষ পর্যন্ত আপনার মনের ইচ্ছার প্রাধান্য রয়েছে। এমনিতেও আপনার যদি কিছু ভালো না লাগে, আপনি তার প্রতি ‘না’ করে দিতে পারেন। হয়তো এ নিয়ে আপনার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে ‘না’ বলতে মনা চাইছে। সে ক্ষেত্রেও ‘না’ বলে দিন। দেখবেন এক অনাবিল শান্তি অনুভব করছেন।