এ বিষয়েও মেয়েরা যতটা স্পর্শকাতর, ছেলেরা ততই জড় পদার্থ
কলকাতা টাইমস :
এমন অনেক কাজ রয়েছে যা নারী-পুরুষ সমানতালে করতে পারে। আবার এমন কাজও রয়েছে যা ছেলেরা পারেন, কিন্তু মেয়েরা করতে পারেন না। উল্টোটাও কিন্তু সত্য। মেয়েরা অনায়াসে করতে পারেন, কিন্তু ছেলেরা তার যোগ্য নন। এখানে জেনে নিন এমনই ৫ বিষয়। এসব কাজে মেয়েরা ওস্তাদ। ছেলেরা তাদের ধারে-কাছেও নেই।
১. আবেগের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে মেয়েরা পটু। প্রত্যেক নারী যেন আবেগের আধার। মেয়েদের মনে যেন সব সময়ই কোনো না কোনো আবেগ খেলা করে। ছেলেদের একটা দিনে মনের মাঝে এমন কি-ই বা আবেগের স্ফূরণ ঘটে? হাসি, বিরক্তি বা ঘুমকাতুরে অনুভূতি। কিন্তু মেয়েদের আবেগের রকমফের গুনে শেষ করা যাবে না। তারা হাসছে, কাঁদছে, ভালোবাসা প্রকাশ করছে বা চিন্তায় অস্থির। ক্ষণে ক্ষণে মনের আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে তাদের।
২. মোবাইলের একটি অপারেটিং সিস্টেম থাকে। কিন্তু মেয়েদের থাকে একাধিক। তারা কখনো রোমান্টিক, কখনো প্রেমিকের ছোঁয়া পেতে অস্থির, আবার কখনো কামনায় কাতর।
৩. গন্ধের বিষয়েও মেয়েরা যতটা স্পর্শকাতর, সে তুলনায় ছেলেরা রীতিমতো জড় পদার্থের মতো। অজানা উৎস থেকে বাতাসে ভেসে আসা গন্ধে অনুভূতি খোঁজে নারী। গন্ধের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ তারা। পানীয়ের গ্লাসের গন্ধ তাদের নাকে ঠিকই লাগে। ফুল দেখলেই সুবাস নিতে এগিয়ে যান। দুর্গন্ধেও অনেক স্পর্শকাতর তারা। সঙ্গীর গায়ের বাজে গন্ধ একদমই সহ্য হয় না।
৪. একযোগে একাধিক কাজ করা কঠিন এক বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ পেয়েছে যে, মাল্টিটাস্কিংয়ে মেয়েরা সত্যিকার অর্থেই পটু। নইলে কি আর এভাবে সন্তান পালন থেকে শুরু করে অফিস-আদালত দাপিয়ে বেড়ায় তারা? তারা মা, তারা মেয়ে, তারা শিক্ষিকা, তারা কেতাদুরস্ত এক্সিকিউটিভ। সব কাজ একযোগে করে যেতে পারে অনায়াসে।
৫. প্রাণীর বিবর্তন ঘটে। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে মেয়েদেরও বিবর্তন ঘটেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের বিবর্তন ঘটছে এবং নারী দিন দিন আরো আকর্ষনীয় আর হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠছে ক্রমশ।