ঘাটতি মেটাতে মধ্যবিত্তের পকেটে ভার কর্ণাটক সরকারের, বিদ্যুৎ শুল্ক বৃদ্ধি

কলকাতা টাইমস :
১০ মে ভোট শেষ হওয়ার পর বুথফেরত সমীক্ষাতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কর্ণাটকের ভবিষ্যৎ। অধিকাংশ সমীক্ষাতেই বলা হয়, গেরুয়া ঝড় রুখে দক্ষিণের রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রেস। আর ফল প্রকাশের মুখেই বৃদ্ধি পায় বিদ্যুৎ শুল্ক। দু’বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার কর্ণাটকে বাড়ল বিদ্যুৎ শুল্ক। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে।
নির্বাচন পরবর্তী কর্ণাটকে মহার্ঘ হল বিদ্যুৎ। এবার থেকে ইউনিট পিছু বিদ্যুতের শুল্ক ৭০ পয়সা বাড়ল। অর্থাৎ বর্তমানে মাসিক বিল ১৫০০ টাকা হলে আরও ১৫০-২০০ টাকা বেশি গুনতে হবে আমজনতাকে।
কর্ণাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, সে রাজ্যে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি খরচ ৭০ পয়সা বাড়ানোর বিষয়টি চলতি বছরের গত ১ এপ্রিলের বিল থেকেই কার্যকর করা হবে। যদিও এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের ঠিক আগের দিন, এ বিষয়টিতে সবুজ সংকেত দেয় কমিশন। কর্ণাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন আরও জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি প্রতি ইউনিটে ১.৩৯ টাকা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল। তবে তা ৭০ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কাঁচামালের দাম, পরিবহণ খরচের পাশাপাশি বেড়েছে কর্মীদের ভাতাও। শুধু তাই নয়, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৪,৪৫৭.১২ কোটি টাকা রাজস্বে ঘাটতি হবে বলে আশঙ্কা। সেই ঘাটতি পূরণ করতেও এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে ইউনিট পিছু শুল্ক ৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করা হয়েছে বলে খবর।