ভ্যাকসিনের কোনো মূল্য নয় ভারতে
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই টিকাকরণ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা সাজিয় ফেলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি আজ টিকাকরণের ড্রাই রান চলছে পশ্চিমবঙ্গেও। তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৫ জন করে স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকার ড্রাই রান চালানো হবে।
টিকাকরণের কাজ চালাতে গিয়ে কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কীনা, টিকাকরণের গতি বাড়াতে গেলে আরও কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তুলতেই ড্রাই রানের আয়োজন করেছে ভারত।
ভারতের ন্যাশনাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডা. বিনোদ পাল জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে। কোভিড টিকাকরণের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে মিলে একটি যৌথ টিম হিসেবে কাজ করছে সরকার।
সারা ভারতে ৩১টি বড় স্টক হাব হবে। সেখান থেকে রাজ্যের ২৯ হাজার ভ্যাকসিনেশন পয়েন্টে কোভিডের টিকা সরবরাহ করা হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা সম্মুখযোদ্ধা তাদের আগে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে কয়েকমাস আগে থেকেই স্পষ্ট একটি রুটম্যাপ সাজিয়ে নিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত আজ থেকেই ড্রাই রান শুরু হলো। বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো হবে। এই কর্মসূচির ওপর বিশেষভাবে নজর রাখবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার দিল্লিতে একটি হাসপাতালে ড্রাই রান কর্মসূচি দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সেখানে ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তাকে। এদিকে করোনার নতুন ধরন নিয়ে সর্বত্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার নতুন এই ধরন আরও বেশি মারাত্মক বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। ইতোমধ্যেই কলকাতায়ও এক তরুণের দেহে মিলেছে নতুন ধরনের করোনার উপস্থিতি।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছেন ওই তরুণ। এদিকে, নতুন বছরের প্রথম দিনই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই)। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই এই ভ্যাকসিন রাজ্যে-রাজ্যে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলবে কেন্দ্রীয় সরকার।