চাঁদের পর সমুদ্র জয়ের পথে ভারতের ‘মৎস্য ৬০০০’
কলকাতা টাইমস :
বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করে বিশ্বের কাছে গৌরব অর্জন করেছে । চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের দিক থেকেও তারাই প্রথম দেশ। তবে শুধু চাঁদ জয় করেই থিম নেই ভারত। এরপর ভারত এগিয়েছে সূর্যের দিকে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়িও দিয়েছে ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল ১। পৃথিবীর তৃতীয় কক্ষপথও পেরিয়ে গেছে আদিত্যযান। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত পৃথিবীর সব কয়টি কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে মহাকাশে সূর্যের পথ ধরবে আদিত্য এল-১। যাত্রাপথের কয়েক হাজার ছবি পাঠাবে সেটি।
ভাবছেন চাঁদ-সূর্যের পর এবার থিতু হল ভারত। ভুল ভাবছেন। এবার ভারতের লক্ষ্য সমুদ্রের গভীরে গিয়ে রহস্য ভেদের চেষ্টা করা । আর তাই তৈরী হচ্ছে ‘মৎস্য ৬০০০’। সম্প্রতি একটি সমুদ্রযানের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। চেন্নাইয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশেন টেকনোলজিতে তৈরি হচ্ছে ভারতের সমুদ্রযান ‘মৎস্য ৬০০০’। কয়েক বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল পরিকল্পনা।
উদ্দেশ্য সমুদ্রের গভীরে গিয়ে রহস্য ভেদ। সাবমেরিনের মতো দেখতে হলেও কাজকর্মে এই সমুদ্রযানটি অনেকটাই ভিন্ন। তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে।
সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যেই যানটি তৈরি করা হচ্ছে। গভীর সমুদ্রাভিযানের ক্ষেত্রে পানির চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম যানটি।
সমুদ্রের নিচে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম হলেও প্রথম অভিযানে ৫০০ মিটার নিচে নামানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের নোনা পানিকে খাবার পানিতে পরিণত করা, সমুদ্রের পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বিষয়ে গবেষণা চালানো হবে এই অভিযানে। সোমবার চেন্নাইয়ে এনআইওটি-তে গিয়ে নিজে ‘মৎস্য ৬০০০’-এর কাজ খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। যানটির ভেতরে প্রবেশ করেন এবং কিভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে