ভারত কাঁপানোর ছক আইএস’র, উদ্বিগ্ন দিল্লি
কলকাতা টাইমস :
ইরাক, সিরিয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘খিলাফত’। তবে সাম্রাজ্য শেষ হলেও, অস্তিত্ব রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের এবং তা প্রবলভাবেই। কিন্তু ইরাক, সিরিয়াযা স্বস্তি হলেও সম্প্রতি দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে গোয়েন্দা এক রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে ক্রিসমাসে ভারতে নাশকতার ছক কষেছে জেহাদি সংগঠনটি।
জানা গেছে, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ওই রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে ক্রমে ইসলামিক স্টেটের প্রভাব বাড়ছে। ভারতীয় উপমহাদেশে উপস্থিতি জানান দিতে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার ডে হামলার মতোই এ দেশে ক্রিসমাসে নাশকতার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনটি। এর জন্য একাধিক ‘স্লিপার সেল’কে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক থাকে না স্লিপার সেলগুলোর। অনেক ক্ষেত্রেই এমনটাও দেখা যায় যে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কোনও হামলা চালিয়েছে সেলগুলো। ফলে ধরা পড়লেও ওই তৃণমূল স্তরের জঙ্গিদের থেকে বিশেষ কিছু তথ্য পাওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, শনিবার তামিলনাড়ুর থানজাবুর ও তিরুচিরাপল্লিতে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গির বাড়িতে তল্লাশি চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সেখান থেকে দু’টি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি সিমকার্ড, পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই রাজ্যে আইএস-এর একাধিক মডিউল কাজ করছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত মাসেই সিনেটে এক মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, ২০১৮ সালে ভারতে ভয়াবহ নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান গ্রুপ (আইএস-কে)। তবে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয় দক্ষিণ এশিয়ায় সক্রিয় এই সংগঠনটির।
তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে, বিশ্বজুড়ে আইএস-এর যেসব শাখা ছড়িয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক খোরাসান। আফগানিস্তানসহ এবার পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন ভারতেও আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই দলটি। বেশ কয়েকবার হামলা চালানোর চেষ্টাও করেছে তারা।