November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

নিচু মানের জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

পনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে কতটা বোঝেন এবং আপনার জন্য কতটা যত্নশীল তার সঙ্গে আপনার ঘুমের গুণগত মানের বিষয়টিও জড়িত। নতুন এক গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল তাদের মধ্যে উদ্বেগ এবং মানসিক উত্তেজনা কম থাকে। এর ফলে তাদের ঘুমের গুণগত মানও বাড়ে।

ঘুমের একটি বড় কাজ হলো, আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষয় রোধ করা। তবে ঘুমের এই ভূমিকা শুধু তখনই অক্ষুণ্ন থাকে যখন আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে উচ্চমানসম্পন্ন ঘুম ঘুমাতে পারব। শরীরকে পুনরায় ফুরফুরে করে কাজের জন্য তৈরি করে এই ঘুম।

গবেষকদের মতে, আপনার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে কতটা ভালো বুঝেন এবং আপনার প্রতি কতটা যত্নবান তা আপনি কতটা ভালো ঘুম ঘুমাতে পারেন তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। স্বস্তিদায়ক ঘুমের জন্য নিরাপত্তার অনুভূতি, প্রতিরক্ষা ও হুমকির অনুপস্থিতির দরকার হয়।

মানুষের জন্য নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষার প্রধান উৎস হলো সহানুভূতিশীল জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী। শৈশবে এর উৎস হতে পারেন বাবা-মা আর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এর উৎস হতে পারেন জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী।
সহানুভূতিশীল জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী তিনিই যিনি আপনার জীবনের কোনো কিছু এলোমেলো হয়ে গেলে আপনাকে প্রতিরক্ষা এবং সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসবেন। আর একমাত্র এ উপায়েই মানুষরা সবচেয়ে কার্যকরভাবে উদ্বেগ, টেনশন এবং মানসিক উত্তেজনা প্রশমন করতে পারে।

এর আগের গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সহানুভূতিশীল আচরণ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে আরো সুখী, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও দীর্ঘায়ু পেতে হলে একজন সহানুভূতিশীল জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী দরকার।

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ওই সাক্ষ্য-প্রমাণগুলো সোশাল পার্সোনালিটি অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply