November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

নবগ্রহের দোষ কাটবে সহজেই, এই উপায়ে এদের করুন খুশি

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বগ্রহদের কোনওটার অবস্থান দুর্বল হলে আমাদের জীবনের উপর এর কী প্রভাব পরে, কি তাই তো? আমাদের জন্ম কুষ্টিতে কোনও গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যদি একবারেই শক্তপোক্ত না হয়, তাহলে একদিকে যেমন নানাবিধ সমস্যায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তেমনি বিবাহে সমস্যা, মনের মতো চাকরি না পাওয়া, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বড় কোনও বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো সুখ-শান্তিতে এবং অবশ্যই নিরাপদে থাকতে এই দেবতাদের উপোস-ব্রত করুন। তাহলেই ফিরবে সুখ-শান্তি।

১. সূর্য দেবের নামে উপোস: আপনার কুষ্টিতে সূর্যের অবস্থান যদি বেজায় দুর্বল হয়, তাহলে প্রতি রবিবার সকাল সকাল উঠে তামার পাত্রে জল নিয়ে তাতে গুড় এবং লাল কোনও ফুল ফেলে সূর্য দেবকে জল দান করতে হবে। তারপর শুরু করতে হবে উপোস। সারা দিন কিছু না খেয়ে “ওম গ্রহনি সূর্য নমহ” এবং “ওম হাম হ্রিম হাউম সাহ সূর্য নমহ”, এই দুটি মন্ত্র জপ করতে করতে সূর্য দেবের অরাধনা করতে হবে। আর দিনের শেষে উপোস ভাঙতে হবে রুটি, ডালিয়া, দুধ অথবা গুড় খেয়ে। প্রসঙ্গত, টানা ১২, ৩০ অথবা এক বছর এইভাবে উপোস করলে দেখবেন সূর্য দেবের আশীর্বাদে ছোট-বড় নানা রোগ যেমন দূরে পালবে, তেমনি সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।

২. চাঁদের শক্তি বাড়াতে: জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে কারও কুষ্টিতে চাঁদের অবস্থান দুর্বল হলে মন-মেজাজ একেবারেই চাঙ্গা থাকে না। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে এমন সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যে মানসিক শান্তি দূরে পালাতে সময় লাগে না। তাই এখন প্রশ্ন হল চাঁদের শক্তি বাড়ানো যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে যে কোনও সোমবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে সাদা জাম-কাপড় পরে এক মনে “ওম আইম সময়া নমহ” এবং “ওম শ্রিম, শ্রিম শ্রোম সাহ চন্দ্রায় নমহ”, এই দুটি মন্ত্র ৩,৫ অথবা ১১ বার জপ করতে হবে। আর ভুলেও এদিন নুন, দুধ, দই এবং চিনি খাওয়া চলবে না। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে ১, ১৬ অথবা ৫৪ সপ্তাহ এমন উপোস করলে তবে কিন্তু সুফল মিলতে শুরু করবে।

৩. মঙ্গল দোষ থাকলে: কারও মঙ্গল গ্রহ দুর্বল হলে কিন্তু মারাত্মক বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে শরীর যেমন একেবারেই ভাল যায় না, তেমনি অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো যাদের মঙ্গল দোষ রয়েছে তাদের ২১ বা ৮৪ টি মঙ্গলবার উপোস করে মঙ্গল গ্রহের পুজো করতে হবে। আর আরাধনা করার সময় পাঠ করতে হবে “ওম আম অঙ্গরাক্ষায় নমহ” এবং “ক্রোম সাহ ভয়ামহ নমহ”, এই দুটি মন্ত্র। প্রসঙ্গত, যে দিন মঙ্গল গ্রহের অরাধনা করবেন, সেদিন ভুল করেও নুন খাবেন না যেন!
৪. বুধের উপোস: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বুধবার উপোস করে বুধ গ্রহের পুজো করলে পড়াশোনায় চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়। সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাদ মেলে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখ পরার মতো। এখন প্রশ্ন হল বুধবার কী কী নিয়ম মেনে উপোস করতে হবে? এক্ষেত্রে স্নান সেরে সবুজ রঙের জাম-কাপড় পরে ঠাকুর ঘরে বসে এক মনে ৩,৫ অথবা ১৭ বার জপ করতে হবে “ওম বাম বুধায় নমহ”, এই মন্ত্রটি। এমনটা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! আর উপোস শেষ করতে হবে মুগ ডাল দিয়ে বানানো যে কোনও খাবার খেয়ে। এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল-বুধ গ্রহকে সন্তুষ্ট করতে উপোস করতে হবে ১৭, ২১ অথবা ৮৪ টি বুধবার। তবে গিয়ে কিন্তু নানা ফল মিলতে শুরু করবে।

৫. বৃহস্পতি গ্রহকে সন্তুষ্ট করতে: জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে যাদের বৃহস্পতি তুঙ্গে রয়েছে তাদের যেমন টাকার কখনও অভাব হয় না, তেমনি কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে এবং অনন্দে কাটাতে হয়, তাহলে বৃহস্পতি গ্রহকে তুষ্ট করতে ভুলবেন না যেন। আর এমনটা করতে টানা ১৬ সপ্তাহ, নয়তো ১ অথবা ৩ বছর প্রতি বৃহস্পতিবার উপোস করে বৃহস্পতি ব্রত কথা পাঠ করতে করতে লর্ড বৃহস্পতির অরাধনা করতে হবে। তাহলেই দেখবেন সুফল মিলতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, যেদিন বৃহস্পতি গ্রহের পুজো করবেন, সেই দিন চানা, বেসন, ঘি এবং চিনি ছাড়া আর কিছু খাবেন না যেন!

৬. শুক্র ব্রত: সুখে-শান্তিতে থাকতে এবং অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে শুক্র গ্রহকে সন্তুষ্ট করে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই জন্য ১৬,২১ অথবা ৩১ টি শুক্রবার উপোস করতে হবে। সেই সঙ্গে “ওম শাম শুক্রায় নমহ” অথবা “ওম ড্রিম, ড্রোম সাহ শুক্রায় নমহ”, এই দুটি মন্ত্রের কোনও একটি পাঠ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! প্রসঙ্গত, সারা দিন উপোস করার পর ভাত, চিনি, দই অথবা ঘি দিয়ে বানানো খাবার খেয়ে ব্রত ভাঙতে হবে।

৭. শনি গ্রহ: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কারও উপর শনির ব্রক্র দৃষ্টি পরলে যত ধরনের সমস্যা হতে পারে, তা সবই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলাও লেজুড় হয়। তাই তো শনি দেবকে ঠান্ডা রাখতে প্রত্যেকেরই টানা ১৫ অথবা ৫১ টি শনিবার উপোস করে দেবের অরাধনা করা উচিত। এক্ষেত্রে কালো জামা-কাপড় পরে শনি দেবের ছবি বা মূর্তির সামনে বসে ৪,১১ অথবা ১৫ বার “ওম ড্রাম, ড্রিম, ড্রোম শাহ শনি নমহ”, এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে এবং নিবেদন করতে হবে কালো তিল, চিনি এবং দুধ। আর উপোস ভাঙতে হবে উরাদ ডাল দিয়ে তৈরি কোনও খাবার খেয়ে।

৮. রাহু-কেতুর দোষ কাটাতে উপোস: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রাহু-কেতুকে তুষ্ট করতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে এবং প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল রাহু-কেতুকে সন্তুষ্ট করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে টানা ১৮ টা শনিবার উপোস করতে হবে এবং এক মনে ৫,১১ অথবা ১৮ বার “এম ব্রাম ভ্রাইম ভ্রাম শাহ রাহু সোয়াহা”, এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। আর যতবার মন্ত্রটি পাঠ করবেন, ততবার অল্প করে জল ঢালতে হবে অশ্বত্থ গাছের গোড়ায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে উপোস ভাঙার সময় খেতে হবে মেথি রুটি অথবা কালো তিল।

Related Posts

Leave a Reply