‘চাবাহার’-এ ভারতকে মাস্টার স্ট্রোক চীনের
কলকাতা টাইমস :
চাবাহার প্রকল্পে ভারতকে বড়সড় স্ট্রোক চীনের। ভারত ও ইরানের মধ্যে ৪ বছর আগে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানে সেখানে ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে জেহেদান পর্যন্ত একটি রেলপথ তৈরির কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই সেই প্রকল্প থেকে ভারতকে সরিয়ে দিয়েছে ইরান। এরপরই কূটনৈতিক জমি বিশ্লেষণ করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। ভারতের বদলে সেই স্থান নিয়েছে চীন।
চাবাহার থেকে জেহদান পর্যন্ত রেলপথের শিলান্যাস ইরানে সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্প ২০২২ সালে শেষ হবে। যে কাজে ইরান আর ভারতকে পাশে চাইছে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, ‘বন্ধু’ দেশ ইরান কেন এমনভাবে মাঝ রাস্তায় এসে ভারতের হাত ছাড়ল? ইরানের ক্ষোভ ও কূটনীতি উল্লেখ্য, ২০২০ সালের প্রথমের দিকে যখন দিল্লি হিংসার আগুনে জ্বলছে, তখন পাকিস্তানের উস্কানিতে সিএএ নিয়ে ও দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিল ইরান। কার্যত সেই সময় ভারতের পরিস্থিতিকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি সেদেশ। সমালোচনার সুরে এদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইরান।
এদিকে, ক্রমেই ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে। একাধিক চুক্তি দিল্লি-ওয়াশিংটন গড়তে থাকে। আর সেচাই চক্ষুশূল হয় ইরানের। সেই ইরান, যার সেনা প্রধানকে আকস্মিকভাবে ড্রোন হামলায় বছরের শুরুতেই হত্যা করে আমেরিকা। কাশেম সুলেমানির সেই হত্যার প্রতিশোধের আগুনে ইরান জ্বলছে! সেই পরিস্থিতিতে আমেরিকা এখন ইরানের শত্রু,আর আমেরিকার সঙ্গে চিনকে কেন্দ্র করে ভারতের সখ্যতা ইরান মানতে পারছে না।
ভারতকে সরিয়ে ইরানের সঙ্গে ২৫ বছরের একটি বড়সড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চিন। যে চুক্তির মূল্য, ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের বাণিজ্যের জন্য খুব একটা সুখের বার্তা নয়। এদিকে, ইরান সূত্রে খবর, আর্থিক সমস্যার জন্য ভারতের সঙ্গে এই প্রকল্পে এগোতে পারেনি ইরান। এদিকে, জানা গিয়েছে, ইরানের ইঞ্জিনিয়াররা এই প্রকল্পের জন্য বহুবার ভারতের দরজায় কড়া নাড়লেও উপযুক্ত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি দিল্লি। ফলে প্রকল্পের গতি ধীরে ধীরে এগিয়েছে। যা ইরানের জন্য খরত সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছিল।