November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কড়াইশুঁটি খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ম্প্রতি হওয়া এই গবেষণায় দেখা গেছে কড়াইশুঁটি কাঁচা অবস্থায় হোক কী রান্নায় দিয়ে, যে কানও অবস্থাতেই যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে নানা উপকার মেলে। বিশেষত শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এই সবজিটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, নিয়মিত কড়াইশুঁটি খাওয়ার অভ্যাস করলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়,সেগুলি হল…
দৃষ্টিশক্তিকে শক্তিশালী করে: লুটেইন, ক্যারোটেনিন, জিয়া-জেনন্থিন সহ আরও বেশ কিছু উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে কড়াইশুঁটির শরীরে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নানাবিধ চোখের রোগের প্রকোপ হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীরের বয়স কমায়: বয়স বাড়লে শরীর এবং ত্বকের উপর তার প্রভাব পরাটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এমনটা আপনার সঙ্গে নাও ঘটতে পারে, যদি রোজের ডায়েটে কড়াইশুঁটি রাখেন তো? কারণ এই সবজিটির অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ত্বকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরকেও বিষ মুক্ত করে। ফলে শরীর এবং ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগে না।
কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমায়: সকালটা কি আপনার একেবারেই ভাল যায় না? তাহলে বন্ধু কড়াইশুঁটি খাওয়া ছাড়া যে আর কোনও উপায় নেই যে! কারণ এর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার, শরীরে প্রবেশ করার পর বর্জ্যের পরিমাণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।
ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়: কড়াইশুঁটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ সৃষ্টি হতে দেয় না। ফলে ব্রেন সেল ড্যামেজ হয়ে অ্যালঝাইমারস বা ঐ জাতীয় কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, সবজিটির অন্দরে থাকা ভিটামিন ই, বি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের বয়স কমাতেও নানাভাবে সাহায্য় করে থাকে।
স্টমাক ক্যান্সারকে দূরে রাখে: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধুরা! আধুনিক স্টাডিতে ইতিমধ্যেই একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে স্টমাক ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে কড়াইশুঁটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত বিশেষ এক ধরনের পলিফেনল এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এক কাপ কড়াইশুঁটিতে কম-বেশি ১০ মিলিগ্রাম পলিফেনল থাকে, যেখানে মাত্র ২ মিলিগ্রাম শরীরে প্রবেশ করলেই স্টামাকে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে পৌঁছায়।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: কড়াইশুঁটিতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে একেবারেই সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম রেটেরও উন্নতি ঘটে।
হাড়কে শক্তপোক্ত করে: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধুরা! রোজের ডায়েটে কড়াইশুঁটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ এতটা বেড়ে যায় যে হাড়ের শক্তিও বাড়তে শুরু করে। ফলে জয়েন্ট পেন বা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যেতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ হাড়ের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই কারণেই তো ৩০ পেরতে না পেরতেই প্রতিটি মহিলাকে দিনে কম করে এক কাপ কড়াইশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে: পরিবারে কি ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আজ থেকেই কড়াইশুঁটি খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এর মধ্যে থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন, শরীরে শর্করার শোষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হঠাৎ করে সুগার লেভেল বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কড়াইশুঁটিতে উপস্থিত নানাবিধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কড়াইশুঁটির অন্দরে থাকা ফাইবার, প্রোটিন এবং মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট শরীরের অন্দরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, তেমনি এত মাত্রায় পেট ভরিয়ে দেয় যে বারে বারে ক্ষিদে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো ওজনকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাহলে প্রতিদিন কাড়াইশুঁটি খেতে ভুলবেন না যেন!
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার মধ্যে দিয়ে শরীরকে যদি রোগমুক্ত রাখতে চান, তাহলে নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেতে ভুলবেন না যেন! আসলে এতে উপস্থিত ক্যাটাচিন, এপিক্যাটাচিন, ক্যারোটেনয়েজ, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না।

Related Posts

Leave a Reply