আলোতেই ধুয়ে সাফ, আকাশে ‘নতুন ইতিহাস’ ইজরায়েলের এই অস্ত্রে
কলকাতা টাইমস :
স্টার ওয়ার্স’ এবং ‘স্টার ট্রেক’-এর মতো কল্পবিজ্ঞানের সিনেমার অস্ত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ লেজার রশ্মি ব্যবহার করতে চাইছে ইজরায়েল। আগামী এক বছরের মধ্যেই ‘আয়রন বিম’ নামের শক্তিশালী ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা’ করবে ইজরায়েল, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। গাজা ভূখণ্ডকে কার্যত ছিন্নভিন্ন করার পরে, লেবাননকে ধ্বংস করার পরে, এখন ইরান ও এর আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে লড়াই চলছে ইজরায়েলের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই সপ্তাহেই অস্ত্র উন্নয়ন সংস্থা রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস এবং এলবিটি সিস্টেমসের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে ইজরায়েল। এটি কেনার জন্য ৫৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিও করেছে তারা। এবার আয়রন বিমের সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, রকেট এবং মর্টার-সহ বিভিন্ন প্রজেক্টাইলের মোকাবিলায় উচ্চক্ষমতার লেজার ব্যবহার সময়ের অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আয়রন ডোমের সুরক্ষা কবচ ভেঙে ইজরায়েল সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে বড় ক্ষতি করেছে হিজবুল্লার ড্রোন। তারপরেই তাদের ডিফেন্স আরও মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ইজরায়েল সেনার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি যুদ্ধে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। এক বছরের মধ্যে স্থলভিত্তিক লেজার সিস্টেমের প্রাথমিক ক্ষমতা অপারেশনাল করে ফেলবে ইজরায়েল।’ লেজার রশ্মিতেই আকাশ পথে শত্রুপক্ষের ছোট-বড় সব মিসাইল, ড্রোন, রকেটকে ধ্বংস করে দেবে সেটি।
সেই ২০১৪ সালে ‘আয়রন বিম লেজার গান’ প্রথম প্রকাশ্যে আনে ইজরায়েল। শত্রু দেশের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এই অস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছিল। এর পরে ২০২১ সালে প্রথম আয়রন বিমের একটি প্রোটোটাইপ চালু করেছিল ইজরায়েল। তারপর থেকেই এটি চালু করার জন্য তারা কাজ করছে। এবার তা কাজ শুরু করার মুখে।