এইসব খাবার বেশি পরিমাণে কিনলেই ক্ষতি
জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে হিসেবী হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এটা আমরা ছোটবেলা থেকেই পেয়ে এসেছি। এখানে খাদ্যপণ্যের সদাইয়ের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এমন অনেক জিনিস আছে যা পুরো মাসের জন্যে কিনে ফেলা ভালো। এতে একমাসের জন্যে চিন্তাও থাকে না, আবার কিছুটা কমদামেও কেনা যায়। কিন্তু এমন অনেক খাবার আছে যা বেশি করে কেনা লাভজনক হলেও তা করা উচিত নয়। এ সম্পর্কে ধারণা নিন।
ফল ও সবজি
কমদামে মিললেও এসব খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারণ টাটকা ফল ও সবজি বলে একটা কথা আছে। বেশি কেনার অর্থ এগুলো বাড়িতে রেখে দিতে হবে। ফরমালিন ছাড়া এসব খাবার কিন্তু এক-দুই দিনেই পচে যাওয়ার কথা। আজ যতটুকু খাবেন ততটুকুই কিনবেন। তার বেশি নয়। তাই পরিমাণমতো কিনুন এবং টাটকা ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ডিম
অনেকেই অনেক ডিম কিনে রেফ্রিজারেটরে ভরে রাখেন। কিন্তু আমেরিকান এগ বোর্ডের এক গবেষণায় বলা হয়, কেনার পর কাঁচা ডিম পরবর্তি তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। তাও যদি তা রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়। তাই যদি নিয়মিত ডিম খান তো সমস্যা নেই। কিন্তু এক-দুই মাসের জন্যে স্টক করবেন না বাড়িতে।
মসলা
মসলার ক্ষেত্রেও একই কাজ করে অভ্যস্ত আমরা। খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ানো এই মসলা বেশি দিন বাড়িতে রাখা উচিত নয়। প্যাকেট খোলার পর তাদের গুণাগুণ নষ্ট হতে থাকে। তাই অল্প পরিমাণে কিনবেন যে দ্রুত ফুরিয়ে যায়। একবারে কিনে বোকামি করবেন না।
ভোজ্য তেল
আমরা অনেকেই এ জিনিসটি প্রচুর কিনে রেখে দেই। আবার অনেকে রেফ্রিজারেটরেও রাখেন। কিন্তু এক গবেষণায় বলা হয়েছে, রেফ্রিজারেটরে রাখলে অনেক দিন থাকে। কিন্তু তার অনেক গুণাগুণ দ্রুত নষ্ট হতে থাকে। তাই বেশি কিনবেন না। দ্রুত ফুরিয়ে যাবে এমন পরিমাণ কেনা উচিত।
কফি
এটা স্টক করাও ভালো নয়। টাটকা কফি মানেই কিন্তু সত্যিকার অর্থে ভালো কঠি। তাই বেশি কিনে দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। এমনভাবে কিনবেন যেন কয়েকদিনেই ফুরিয়ে যায়।
বেকারি
পাউরুটি-বিস্কিট ইত্যাদি অনেকেরই প্রিয় খাবার। তবে তা ভালোমানের কেনা উচিত। তবে যাই কেনেন না কেন পরিমাণমতো কিনবেন। এগুলো বেশি দিন ভালো থাকে না। মূলত যেদিন বানানো হয় সেদিনই কিনে খাওয়া উচিত। তবে আরো দু-তিন দিন চলতে পারে। তার বেশি নয়। তাই অতিরিক্ত কিনে পচা খাবার খাবেন না।