নির্দিষ্ট ধর্মের না হলে এখানে রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া অসম্ভব
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান : ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর বিশ্লেষণ বলছে, ১৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলমান হতে হবে৷ এগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রুনাই, ইরান, জর্ডান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সিরিয়া, টিউনিশিয়া ও ইয়েমেন৷
ইন্দোনেশিয়া : বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস ইন্দোনেশিয়ায়৷ তবে সেদেশের সংবিধান বলছে, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান হবেন তাকে অবশ্যই রাষ্ট্রের মতাদর্শে, যা প্যানকাসিলা নামে পরিচিত, বিশ্বাসী হতে হবে৷
লেবানন : জনসংখ্যার প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ মুসলিম৷ এর মধ্যে ২৭ শতাংশ সুন্নি ও বাকি ২৭ শতাংশ শিয়া৷ খ্রিষ্টান জনগণের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪০ শতাংশ৷ এর মধ্যে ২১ শতাংশ ম্যারোনিট ক্যাথলিক ও ৮ শতাংশ গ্রিক অর্থোডক্স৷ এবার বলুন তো রাষ্ট্রপ্রধানকে কোন ধর্মের হতে হবে? সংবিধান বলছে, অবশ্যই ম্যারোনিট ক্যাথলিক৷ আর প্রধানমন্ত্রীকে হতে হবে অবশ্যই সুন্নি মুসলমান৷ রাষ্ট্রপ্রধান খ্রিষ্টান হতে হবে এমন শর্ত আছে অ্যান্ডোরাতেও৷
রাজা বা রানিকে নির্দিষ্ট ধর্মের হতে হবে : ব্রিটেন , ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৬টি দেশের রাজা অথবা রানিকে (বর্তমানে যেমন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ) অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি ধর্মের হতে হবে৷ রানির পদ অলংকারিক হলেও তিনি সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান৷ ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন এর ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য৷
বৌদ্ধ রাষ্ট্রপ্রধান : এমন বিধান আছে দু’টি দেশে৷ ভুটান আর থাইল্যান্ডে৷ ভুটানের বর্তমান রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ও রানি গিয়ালতসুয়েন জেতসুন পেমা ওয়াংচুক৷
ধর্মীয় নেতাদের মানা : বলিভিয়া, মেক্সিকো ও এল সালভেদর সহ আটটি দেশের সংবিধান বলছে, ধর্মীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না৷ অন্য দেশগুলো হচ্ছে মিয়ানমার, কস্টা রিকা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা৷