November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

বিয়ের পর পছতাতে না চাইলে আজই জপ করা শুরু করুন এই মন্ত্রটি!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

শাস্ত্র মতে মন্ত্র হল সেই শক্তিকে যাকে কাজে লাগিয়ে যে কোনও শৃঙ্গ জয় করা সম্ভব। শুদু তাই নয়, জীবনে চলার পথে গজিয়ে ওঠা নানা সমস্যা কমতেও সময় লাগে না, যদি ঠিক মতো মন্ত্র জপ করতে পারেন তো।  যাদের বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে, তারাও যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন, তাহলে ব্যাপক সুফল মিলতে পারে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, বিয়ে সংক্রান্ত নানা সমস্যাকে দূরে ছুড়ে ফেলে দিতে যদি চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! 

এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে সেই শক্তিশালী মন্ত্রটি সম্পর্কে, কি তাই তো? কালিকা পূরণ অনুসারে নিয়মিত যদি কাত্যায়নী মন্ত্র পাঠ করা যায়, তাহলে বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না।

কে এই মা কাত্যায়নী?

ঋষি কাত্যায়নের মেয়ে হয়ে জন্মেছিলেন মা কাত্যায়নী। প্রথমে ঋষি বুঝতে না পারলেও পরে তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার মেয়ে সাধারণ কেউ নয়, আসলে হলেন মা দূর্গার কাত্যায়নী রুপ। এর পর থেকেই তিনি নিজের মেয়ের পুজো শুরু করেন। আর সেই থেকেই সারা জগৎ কাত্যায়নী রূপে আরধনা শুরু করেন মা দূর্গার। মায়ের এই রূপে দেবী বসে রয়েছেন সিংহের উপর। তাঁর বাঁ হাতে তলোয়ান, অন্য হাতে পদ্ম ফুল।

বিয়ে সংক্রান্ত সমস্যা কমায়:

ভগবত পূরাণ অনুসারে মা কাত্যায়নীর আরাধনা করলে বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা দূরে পালায়। শুধু তাই নয়, বৈবাহিক জীবনে যাতে কোনও বাঁধার সম্মুখিত হতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে মা। তাই তো সুখি জীবনের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, অবিবাহিত মহিলারা যদি নিয়মিত “ওম হ্রিং কাত্যায়নী সোয়াহা”, এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে যাদের হাজারো চেষ্টা করার পরেও বিয়ে হচ্ছে না, তাদের এই বাঁধা সরে যেতেও সময় লাগে না।

দ্রুত যদি বিয়ে করতে চান?

মনের মানুষটিকে ছেড়ে অনেকেই বেশি দিন থাকতে পারেন না। তাই তো যত শীঘ্র সম্ভব বিয়ে করে নেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নানা বাঁধার কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ হয় না। এক্ষেত্রে যদি মা কাত্যায়নীকে বিশেষ একটি মন্ত্র পাঠ করতে পারেন, তাহলে দ্রুত বিয়ে করার ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি জপ করতে হবে, সেটি হল- “ওম কাত্যায়নী মহামায়া মহা ইয়োগিনিইয়াধিসভারি। নন্দ গোপাসুত দেবী পতম মে কুরু নামাহঃ”।

মন্ত্র পাঠের আরও উপকারিতা:

শাস্ত্র মতে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মঙ্গল দোষ কেটে যেতেও সময় লাগে না। ফলে যারা মাঙ্গলিক, তাদের বিয়ে সংক্রান্ত নানা বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বিয়ের পরে মঙ্গল দোষের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও ধরনের মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে। ফলে বৈবাহিত জীবন সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে। এখানেই শেষ নয়, মেনে আরও বেশ উপকার, যেমন ধরুন- মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং প্রেম করে বিয়ে করার পথে কোনও বাঁধা আসে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি, সেটি হল- “হে গৌরী শঙ্করঅর্ধাঙ্গিনি। ইথা তাভাম শঙ্করাপ্রিয়া। তথা মাং কুরু কল্যাণী। কান্ত কান্তসুদুরলাভাম।”

মন্ত্র জপ করার নিয়ম:

এক্ষেত্রে ঠাকুরের আসনে একটি লাল কাপড় পেতে প্রথমে মাকে প্রতিষ্টিত করতে হবে। তারপর লাল কাপড় পরে শুরু করতে পুজো। এই সময় মাকে যে কোনও লাল ফুল নিবেদন করতেও ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মায়ের আরাধনা করার সময় মনে মনে মা কাত্যায়নীর মন্ত্র জপ করতে হবে। এইভাবে যদি নিয়মিত মায়ের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না।

Related Posts

Leave a Reply